বোরকা পরে পালাচ্ছিলেন কেন: হাসিনাকে খালেদা
জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার জড়িত থাকার অভিযোগ জানিয়ে এর পক্ষে ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বিভিন্ন তৎপরতাকে ‘প্রমাণ’ হিসেবে তুলে ধরেছেন খালেদা জিয়া।
রোববার জয়পুরহাটের জনসভায় বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “১৭ মে আপনি (হাসিনা) দেশে আসলেন, আর জিয়াউর রহমান হত্যা হয়েছে ৩০ মে। আপনি আসার ১৩ দিন পর কেন জিয়াউর রহমান হত্যা হলেন। নিশ্চয় কোনো কারণ ছিল।
“জিয়াউর রহমানের জানাজার অংশ নেয়ার জন্য যখন সারাদেশ থেকে মানুষ ঢাকায় আসছিলেন। তখন আপনি বোরকা পরে কেন ভারতের সীমান্তে পালাচ্ছিলেন। তাহলে কি প্রশ্ন করতে পারি- আপনার ভয় ছিল। আপনি কোনো কিছুর সাথে জড়িত ছিলেন?”
১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর রাজনৈতিক পটপরির্তনে ক্ষমতার কেন্দ্রে আসেন সেনাপ্রধান জিয়া। পরে তিনি সামরিক আইন প্রশাসক এবং রাষ্ট্রপতি হন।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়ার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে ধরেন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বেঁচে থাকলে জিয়াকেও এই হত্যামামলার আসামি করা হত।
এর প্রতিক্রিয়ায় জিয়া-খালেদার ছেলে তারেক রহমান তার বাবার হত্যাকাণ্ডে শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তোলেন।
তার পাল্টায় প্রধানমন্ত্রী এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্যে দুই বার ক্ষমতায় থাকার পরও জিয়া হত্যাকাণ্ডের মামলা চালানোর কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় খালেদার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর বিভিন্ন হয়রানির বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় জয়পুরহাটের জনসভায় বক্তব্যে খালেদা দাবি করেন, জিয়াই দেশে ফেরত এনেছিলেন শেখ হাসিনাকে।
“উনাকে (হাসিনা) লোক পাঠিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তার বাড়িসহ সব কিছু ফেরত দেয়া হয়েছে। তিনি বুঝিয়া পাইলাম বলে তা গ্রহণ করেছেন। এখন তিনি বলছেন, তাকে মালামাল ফেরত দেয়া হয়নি। শেখ হাসিনা মিথ্যাচার করছেন।”
শেখ হাসিনার উদ্দেশে খালেদা আরো বলেন, “আমাদেরকে না কি ফরমালিন দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাই যদি হয়, এজন্য তাকে (হাসিনা) ধরা উচিৎ। কারণ তিনিই এই ফরমালিন আমদানি করেছেন।”
ফলে ফরমালিনের পরীক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “আজ ফরমালিন অভিযানের নামে আম নষ্ট করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, বিদেশি আম আমদানির জন্য দেশীয় আম এভাবে নষ্ট করা হচ্ছে।”