আমি চক্রান্তের শিকার: নূর হোসেন
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন দাবি করেছেন, তিনি চক্রান্তের শিকার। তিনি বলেন, ‘আমি চক্রান্তের শিকার। এটি একটি রাজনৈতিক চক্রান্ত।’
আজ সোমবার সকালে কলকাতার বাগুইহাটি থানার কাছে দেশবন্ধু নগর সরকারি হাসপাতালে সাংবাদিকদের কাছে এ দাবি করেন নূর হোসেন।
আট দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার স্থানীয় সময় বেলা দুইটায় নূর হোসেন ও তাঁর দুই সহযোগীকে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর বারাসাতের মুখ্য বিচার বিভাগীয় হাকিমের আদালতে তোলা হবে। এ উপলক্ষে সকাল নয়টার দিকে তিনজনকে বাগুইহাটি ওই হাসপাতালে স্বাস্থ্যপরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।
চক্রান্তের পেছনে কারা রয়েছে—সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে নূর হোসেন বলেন, ‘আপনারা খুঁজে বের করুন।’
র্যাবকে ছয় কোটি টাকা দিয়েছেন কি না—জানতে চাইলে নূর হোসেন বলেন, ‘আমি জানি না।’
নূর হোসেনের সঙ্গীদের একজন সুমন খান বলেন, ‘আমি পাসপোর্ট ভিসা নিয়ে এসেছি। তবু আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে।’
১৪ জুন রাতে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে বাগুইহাটি থানার কৈখালি এলাকার ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসন থেকে দুই সঙ্গীসহ গ্রেপ্তার হন নূর হোসেন। বাগুইহাটি থানার সহযোগিতায় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের (এটিএস) সদস্যরা তাঁদের গ্রেপ্তার করেন।
পরদিন গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনকে বারাসাতের আদালতে তোলা হয়। নূর হোসেন ও তাঁর দুই সঙ্গীকে জিজ্ঞাসাবাদে আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
৮ জুন ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনের পাঁচতলার একটি ফ্ল্যাট মাসিক ২০ হাজার টাকায় দুই মাসের জন্য ভাড়া নেন নূর হোসেন।
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনার পর নূর হোসেন বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে পশ্চিমবঙ্গে আসেন। বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে থাকার পর ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনে ওঠেন।
আদালতের নির্দেশ পেয়ে এটিএস সদস্যরা নূর হোসেনকে উত্তর বিধাননগর থানায় নিয়ে জেরা করেন। তিনি কীভাবে, কার সাহায্যে, কোন সীমান্তপথে, কোন দালালের হাত ধরে কলকাতায় এসেছেন—তা জানার চেষ্টা করেছে এটিএস।
এ ছাড়া ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনে ওঠার ক্ষেত্রে নূর হোসেন কাদের সহযোগিতা নিয়েছেন, এ কাজে কলকাতার কোন কোন ব্যক্তি জড়িত—জেরায় তাও জেনে নিয়েছেন এটিএসের সদস্যরা।
গতকাল রোববার বিকেলে বাগুইহাটি থানার আইসি দেবব্রত ঝা প্রথম আলোকে বলেন, আট দিনের রিমান্ড শেষে নূর হোসেনকে কাল (আজ) বারাসাত আদালতে তোলা হবে।