‘কৃত্রিম ডিমের ব্যাপারে সরকার সতর্ক’
এক ধরনের কৃত্রিম ডিম পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তৈরি হচ্ছে। বাংলাদেশের বাজারে এই ডিমের কেনা-বেচার বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চট্টগ্রাম-৪ আসনের সাংসদ দিদারুল আলমের এক প্রশ্নের জবাবে মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হক এ তথ্য জানান। এর আগে বেলা ১১টার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক বসে। দিনের কার্যসূচির শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিল উপস্থাপিত হয়। মন্ত্রীর দেওয়া তথ্যমতে, ১১ ধরনের উদ্ভিদ দিয়ে তৈরি করা হয় এই কৃত্রিম ডিম। যুক্তরাষ্ট্রের ‘হ্যাম্পটন ক্রিক ফুড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই ডিম উদ্ভাবন করেছে। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকে এ ডিম সেখানকার সুপার শপগুলোয় বিক্রি হচ্ছে। মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস এবং পে-পলের সহপ্রতিষ্ঠাতা পিটায় থিয়েল এ ডিম তৈরির জন্য অর্থের জোগানদাতা এবং তাঁরা ডিম প্রস্তুতকারী কোম্পানিটির উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করছেন।
মন্ত্রী জানান, কৃত্রিম উপাদান দিয়ে তৈরি করা এই ডিম সাধারণ মুরগির ডিমের মতো। এটি দিয়ে কেক, কুকিজ, মেয়নেজসহ নানা উপাদেয় খাদ্যদ্রব্য তৈরি করা হয়। উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের ভাষ্য মতে, কৃত্রিম ডিম স্বাস্থ্যসম্মত। এর উত্পাদন খরচ সাধারণ মুরগির ডিমের চেয়ে ১৯ শতাংশ কম।
মন্ত্রী আরও জানান, বাংলাদেশের বাজারে এই ডিম কেনা-বেচার কোনো তথ্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে নেই। এ ছাড়া এ ডিম আমদানি বা বিক্রির জন্য কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় অনুমোদন দেয়নি। কিংবা কোনো প্রতিষ্ঠান এর জন্য আবেদনও করেনি।