৪-১ গোলের জয় নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ব্রাজিল
ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের উল্লাসে ভাসিয়েছেন নেইমার। তার জোড়া গোলের সুবাদেই ক্যামেরুনের বিপক্ষে ৪-১ গোলের জয় পেয়েছে ব্রাজিল। ফলে ‘এ’ গ্রুপে থেকে চ্যাম্পিয়ন হলো ব্রাজিল। দ্বিতীয় রাউন্ডে তাদের প্রতিপক্ষ চিলি।
মেক্সিকোর বিপক্ষে ড্র পর অস্কার-ফ্রেড-নেইমারদের নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল বিস্তর। সেই সমালোচনাই হয়তো তাতিয়ে দিয়েছিল তাদের। যার জের পোহাতে হলো ক্যামেরুণকে। ব্রাজিল বোমায় একেবারে কোমায় চলে গেল ‘আফ্রিকার অদম্য সিংহরা’।
ক্যামেরুনের বিপক্ষে শুরু থেকেই বিধ্বংসী হয়ে উঠেছিলেন ব্রাজিলের ফুটবলাররা। প্রথম ১০ মিনিটেই বেশ কয়েকবার আতঙ্ক ছড়িয়েছেন প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে। গোলের জন্যও খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি সেলেসাওদের। ১৭ মিনিটের মাথায় লুইস গুস্তাভোর দারুণ এক পাস থেকে বল পেয়ে গোল করেছেন নেইমার।
কিছুক্ষণ পর ক্যামেরুনও পাল্টা আঘাত হানে ব্রাজিলিয়ান শিবিরে। ২৫ মিনিটে জোয়েল মাতিপের হেড আঘাত হেনেছিল ব্রাজিলের গোলপোস্টে। গোল না পাওয়ার আক্ষেপ অবশ্য বেশিক্ষণ করতে হয়নি মাতিপকে। পরের মিনিটেই ব্রাজিলের জালে বল জড়িয়েছেন এই ক্যামেরুন স্ট্রাইকার। দানি আলভেজকে দারুণভাবে কাটিয়ে তার দিকে বল বাড়িয়েছিলেন অ্যালান নিয়ম।
নেইমারও খুব বেশি সময় নেননি ব্রাজিলকে ফের খেলায় ফেরাতে। ৩৫ মিনিটের মাথায় মার্সেলোর পাস থেকে বল পেয়ে জোরালো এক শটে ক্যামেরুনের জালে বল জড়িয়েছেন এই তারকা ফরোয়ার্ড। এই তিন ম্যাচে চার গোল করলেন বার্সা স্টাইকার।
এই ম্যাচে গোল পেয়েছেন প্রথম ম্যাচ থেকেই বিবর্ন ফ্রেড। সব সমালোচনার জবাব দিলন তিনি। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই (৪৯মিনিটে)গোল করে ব্যবধান ৩-১ করেন ফ্রেড। আর ৮৪ মিনিটে ক্যামেরুণের কফিনে শেষ পেরেক গাড়েন ফারনানদিনহো। শেষে আরও কয়েকটি জোড়ালো আক্রমণ করলেও গোল করতে পারেননি অস্কার-রামিরেসরা।