তারাবিতে একই পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান সরকারের
পবিত্র রমজানের খতম তারাবি নামাজ পড়ার সময় দেশের সকল মসজিদে একই পদ্ধতি অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। এ জন্য রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা ও বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াতের আহ্বান জানিয়ে সরকারি সংস্থাটি। মঙ্গলবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩০ জুন রমজান মাস শুরু হচ্ছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজানে দেশের বিভিন্ন মসজিদে খতম তারাবিহতে পবিত্র কুরআনের নির্দিষ্ট পরিমাণ পারা তিলাওয়াত না করে বিভিন্ন পরিমাণে তিলাওয়াত করা হয়। এতে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী মুসল্লীদের মধ্যে কুরআন খতমের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা সম্ভব হয় না। এই অবস্থায় ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের মধ্যে একটি অতৃপ্তি ও মানসিক চাপ অনুভূত হয়। খতম তারাবির সওয়াব থেকেও তারা বঞ্চিত হন।
এ পরিস্থিতি নিরসনে রমজানের প্রথম ৬ দিনে দেড় পারা করে ৯ পারা ও বাকি ২১ দিনে ১ পারা করে ২১ পারা তিলাওয়াত করলে ২৭ রমযান রাতে অর্থাৎ পবিত্র ‘লাইলাতুল ক্বদরে’ কুরআন খতম করা সম্ভব। ইতোপূর্বে বিষয়টি নিয়ে দেশবরেণ্য আলেম, পীর মাশায়েখ ও ইমামদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারাও এ পদ্ধতিতে খতম তারাবি পড়ার পক্ষে অভিমত দিয়েছিলেন।
এ ছাড়া তারাবি নামাজ ২০ রাকাত যা রাসূলুল্লাহ (সা.) ও সাহাবীগণ আমল করেছেন। ইসলামের প্রথম যুগ থেকে উলামা ও ফকীহগণ তা অনুসরণ করে আসছেন এবং সারাবিশ্বের মুসলমানগণ এভাবেই তা পালন করে আসছেন। সে সাথে তারাবীহতে কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে উচ্চারণ স্পষ্ট হওয়া বাঞ্চনীয় বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।