ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬০ কি. মি. যানজট
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৬০ কিলোমিটারজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন গন্তব্যের মানুষ। এবার বর্ষা মৌসুম শুরুর পর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিনই মহাসড়কে ৮ থেক ১০ ঘণ্টা যানজট লেগেই থাকছে। অনেক সময় তা বেড়ে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকালে এই যানজটের ভয়াবহতা আরো তীব্র আকার ধারণ করেছে। যানজটের ১০ মিনিটের রাস্তা পাড়ি দিতে সময় লাগছে ৮-১০ ঘণ্টা। মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের ৫২ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ২০ কিলোমিটার রাস্তায় প্রবল বর্ষণে সৃষ্ট হয়েছে বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে পড়ে গাড়ির স্কেল ভেঙে যাচ্ছে। আর নষ্ট হওয়া গাড়ি সরিয়ে নিতে সময় লেগে যাচ্ছে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। আর এ সময়টাতে বন্ধ থাকছে যান চলাচল। ফলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করেছে। এছাড়া মহাসড়কে গর্তের কারণে যান চলাচলের গতি কমে যাওয়ার কারণেও যানজটের মাত্রা বাড়ছে।
সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা গেছে, মহাসড়কের সীতাকুণ্ডের যেসব স্থানে বেশি গর্ত সৃষ্টি হয়েছে সে স্থানগুলো হচ্ছে- ভাটিয়ারী, মাদামবিবিরহাট, শীতলপুর, কালুশাহ মাজার এলাকা, বাংলাবাজার, ফৌজদারহাট, জলিল গেইট, বানুর বাজার, বিএমএ গেইট, কদম রসুল, সালেহ কার্পেট গেইট, বারআউলিয়া, কুমিরা, বড়দারোগারহাট, সীতাকুণ্ড উত্তর ও দক্ষিণ বাইপাস।