এবার নির্ধারিত হবে ‘মুক্তিযোদ্ধা’র সংজ্ঞা
মুক্তিযোদ্ধাদের সংজ্ঞা নির্ধারণের উদ্যোগ নিয়েছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। দৈনিক যুগান্তরে বিএম জাহাঙ্গীরের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইতোমধ্যে একটি খসড়া প্রস্তাবনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সংজ্ঞার বিষয়টি আইনে উল্লেখ থাকবে। এ প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কেএইচ মাসুদ সিদ্দিকী পত্রিকাটিকে বলেন, মুক্তিযোদ্ধার সনদ প্রদান নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে নানা বিতর্ক চলে আসছে। কিছু কিছু অভিযোগ যে একেবারে অসত্য, তা নয়। ইতিমধ্যে কিছুসংখ্যক ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা চিহ্নিত করে তাদের সনদ বাতিলসহ গেজেট থেকে নামও বাদ দেয়া হয়েছে। এ অবস্থায় একটি বিতর্কমুক্ত স্বচ্ছ ও নির্ভুল প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকা করার ক্ষেত্রে আইনের মাধ্যমে সংজ্ঞা নির্ধারণের কোনো বিকল্প নেই। এজন্য এ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে জানানো হয়, খসড়া প্রস্তাবে মুক্তিযোদ্ধার সংজ্ঞায় মুক্তিযোদ্ধার উপাধি বা সনদ পাওয়ার জন্য প্রাথমিকভাবে আট ধরনের যোগ্যতা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, যেসব ব্যক্তি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশের সীমানা অতিক্রম করে ট্রেনিং ক্যাম্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মুুক্তিযোদ্ধাদের উৎসাহ দিতে যেসব শিল্পী, সাহিত্যিক, খেলোয়াড়, চিকিৎসক, লেখক, সাংবাদিক বিদেশে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অবদান রেখেছেন। যারা মুজিবনগর সরকারের কর্মকর্তা-কর্মচারী হিসেবে ভূমিকা রাখা ছাড়াও বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে যারা বিভিন্ন মুক্তিবাহিনীর সদস্য ছিলেন। যেমন- কাদেরিয়া বাহিনী, হেমায়েত বাহিনী, আনসার বাহিনী প্রভৃতি। আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে ভারতের ত্রাণশিবিরে অবস্থান করলেও পরবর্তীতে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এমন ব্যক্তি। মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী পুলিশ, আনসার ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। মুুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অথবা মুজিবনগর সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব গণপরিষদ সদস্য। সবশেষে বিশ্ব জনমত গঠনে সক্রিয় বাংলাদেশী নাগরিকরা