শেষ আটের টিকিট পেল যারা
আস্তে আস্তে ছোট হয়ে আসছে বিশ্বকাপের পরিসর। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা আর লড়াই শেষে ৩২ দল থেকে এখন টিকে আছে মাত্র ৮টি দল। ইতিমধ্যে বিদায় নিয়েছে ২০১৪ বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ২৪টি দল। বাদবাকি আটটি দল নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে টিকিট পেয়েছে কোয়ার্টার ফাইনালের।
গ্রুপ পর্বে যতটা অঘটনের শিকার হয়েছিল বড় দলগুলো, নকআউট পর্বে তেমনটি হয়নি। ফেভারিট দলগুলোই নিশ্চিত করেছে কোয়ার্টার ফাইনাল।
নকআউট পর্বের প্রথম দিনে ব্রাজিল-চিলির ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে, টাইব্রেকার নামক ভাগ্য পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে ব্রাজিল। দ্বিতীয় ম্যাচে সুয়ারেজবিহীন উরুগুয়েকে সহজেই ২-০ গোলে হারিয়ে ব্রাজিলের প্রতিদ্বন্দ্বী বনে যায় কলম্বিয়া।
দ্বিতীয় দিনের লড়াইয়ে নেদারল্যান্ডস শেষ মুহূর্তে জ্বলে উঠে ২-১ গোলে মেক্সিকোকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে। দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলেও কোস্টারিকার কাছে টাইব্রেকারে ৫-৩ গোলে হেরে যায় গ্রিস।
নকআউট পর্বের তৃতীয় দিনে ফ্রান্স কাঠখড় পুড়িয়ে নাইজেরিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে শেষ আটে জায়গা করে নেয়। দিনের অপর ম্যাচে জার্মানিকে কাঁদিয়ে ছাড়ে আলজেরিয়া। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ে খেই হারায় আফ্রিকান দলটি। আলজেরিয়ার ক্লান্তির সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে ২-১ গোলের জয় তুলে নেয় জার্মানরা।
দ্বিতীয় রাউন্ডের শেষ দিনে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা-সুইজারল্যান্ড, বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্র। আর্জেন্টিনার বিপক্ষে সুইজারল্যান্ড দারুণ খেলেও অতিরিক্ত সময়ে ১-০ গোলে হেরে যায়। ঘাম ঝরিয়ে জয় তুলে নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। শেষ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্র ও বেলজিয়াম হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করলেও দিন শেষে বিজয়ের হাসি হেসেছে বেলজিয়াম। যুক্তরাষ্ট্রকে ২-১ গোলে হারিয়ে আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ হয়েছে রোমেলু লুকাকুরা।
নকআউট পর্বে একটা বিষয় লক্ষণীয় ছিল, সেটা হলো কোনো দলই সহজে ছেড়ে দেয়নি প্রতিপক্ষকে। কষ্টার্জিত জয়ই তুলে নিতে হয়েছে প্রতিটি দলকে। অবাক করা হলেও সত্য, নকআউট পর্বের ৮টি ম্যাচের ৫টিই অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছে। তার মধ্যে দুটি ম্যাচ টাইব্রেকার পর্যন্ত গড়িয়েছে। ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো এবং টাইব্রেকারে যাওয়ার হার কোয়ার্টার ফাইনালে বাড়বে বৈকি কমবে না।
কোয়ার্টার ফাইনালে উঠল যারা :
১. ব্রাজিল
২. কলম্বিয়া
৩. নেদারল্যান্ডস
৪. কোস্টারিকা
৫. ফ্রান্স
৬. জার্মানি
৭. আর্জেন্টিনা
৮. বেলজিয়াম