সংসদে কবিতা পাঠ করলেন এরশাদ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মুহম্মদ এরশাদ প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘অতীতে বিরোধী দল হিসেবে আপনারা কি সঠিক দায়িত্ব পালন করেছেন?’
বৃহস্পতিবার সংসদে দেওয়া এরশাদের বক্তব্যের শেষে সরকারের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করার আশা ব্যক্ত করে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করেন তিনি।
সংসদে এরশাদের স্বরচিত কবিতা-
আমাদের যাত্রা হলো শুরু,
এগিয়ে যাবার শপথ নিলাম তাই।
১৬ কোটি মানুষের আশার প্রদীপ হাতে,
সব বাধা পেরিয়ে চলো এগিয়ে যাই।
গড়তে সবাই নতুন এক দেশ,
সে আমার তোমার প্রাণের বাংলাদেশ।
সংসদে এরশাদ আরও বলেন, ‘১৯৯১-এর নির্বাচনের আগে আমাদের জেলে পাঠানো হয়েছিল। ঠিকমতো প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারিনি। তবুও আমরা ৩৫টি আসন পেয়েছিলাম। ১৭টি আসনে ৫০০ ভোটের ব্যবধানে হেরেছিলাম। বিষবৃক্ষ আপনারাই সৃষ্টি করেছিলেন। এটা আমার দোষ নয়, আমাদের দোষ। আর পাঁচটি আসন বেশি পেলে বিএনপি-জামায়াতের সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে পারত না। আমরা-আপনারা মিলে সরকার গঠন করতাম। এখন গণতন্ত্রের স্বার্থে অতীতকে কবর দিতে চাই।’
নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়ারও আহ্বান জানান এরশাদ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের এক্সরে করেও নাকি কোনো মেরুদণ্ড খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমন নির্বাচন কমিশন আমরা চাই না। সাংবিধানিক সংস্থাগুলোকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিন।’ তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় দেশ নেতৃত্বশূন্য হয়ে যাচ্ছে।
এরশাদ বলেন, ‘বাজেট বাস্তবায়নে দরকার সহায়ক পরিবেশ। ভোটের আগে বিএনপি-জামায়াত যে নৈরাজ্য, ধ্বংস চালিয়েছিল, তা অব্যাহত থাকলে বাজেট বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। ভোটের আগের ওই অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পুরোপুরি হয়নি। নারায়ণগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরে ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু কোনো প্রতিকার নেই। জেল, ফাঁসি হলে এসব বন্ধ হয়ে যাবে।’
এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আপনি যা খুশি করেন, আমরা সমর্থন জানাব। মানুষ আপনার কাছে শান্তি চায়। স্বস্তি চায়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তি চায়। তা নিশ্চিত করুন। আপনিও বঙ্গবন্ধুর মতো অমর হয়ে থাকবেন।’