বিএনপিতে অস্বস্তি বিরাজ করছে
ঈদের পর সরকার পতন আন্দোলনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিএনপির সভা সমাবেশেও ভালোভাবেই আন্দোলনের প্রচার করা হচ্ছে। দল গুছিয়ে রাজপথে কঠোর আন্দোলনে নামার কথা বললেও বিএনপি সাংগঠনিকভাবে ‘জীর্ণ শীর্ণ’। দলটির নেতাদের মধ্যে প্রকট হওয়া অবিশ্বাস আর দ্বন্দ্বের কারণে দল গুছিয়ে রাজপথের আন্দোলনে যাওয়া ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠছে। গত ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রতিহত করার কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে সাংগঠনিকভাবে অনেকটা বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপির মিত্র সংগঠনগুলো। এরপর থেকে দল গোছানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। দল পুনর্গঠনের খবরে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। তবে এ প্রক্রিয়া দিন দিন জটিলতর হয়ে উঠছে। ৭৫টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। জেলার নতুন আহ্বায়ক কমিটিগুলোর মাঝে নেই কোন সমন্বয়। আগামী ৪৫ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা থাকলেও সময় খুব কম। এ নিয়ে দপ্তরের নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি বিরাজ করছে। বিএনপির অন্যতম শক্তি ছাত্র সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, জাতীয়তাবাদী যুবদল, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল, জাসাস, জাতীয়তাদী ওলামা দল সকল ক্ষেত্রেই অস্বচ্ছতা, দায়িত্বহীনতা আর রাজনৈতিক মনোভাবের অভাবে রাজপথের আন্দোলন জোরালো হবে না, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অভিমত।