ড্রোন-ফাইটারের লাগাতার হামলায় কেঁপে উঠছে ইরাকের উত্তরাঞ্চল

11_2
মার্কিন জেট এবং ড্রোন শুক্রবার থেকে উত্তর ইরাকে সুন্নি ইসলামি চরমপন্থী আইএসআইএস এর স্থাপনা লক্ষ্য করে মুহুর্মুহু হামলা শুরু করেছে। কুর্দিশ অঞ্চলের রাজধানী ইরবিলে চলছে এই হামলা।

কুর্দিশ অঞ্চলের মসুল বাঁধ এখন আইএসআইএস এর হাতে। ফলে প্রায় ১শ’ ৫০ মাইল এলাকা জুড়ে চলছে সংগঠনটির কর্তৃত্ব। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ বাসিন্দা সংখ্যালঘু ইয়াযিদি সম্প্রদায়, যাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে সংগঠনটি।

বিমান হামলা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে গত বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে এক ভাষনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এই হামলার অনুমোদন দেওয়ার কথা জানান।

আইএসআইএস এর দখলকৃত মসুল বাঁধ

ওবামা বলেন, আমি চাই না ইরাকে আরেকটা যুদ্ধ হোক। কিন্তু সেখানের মানুষের আহাজারি সহ্য করার মতো। একারণে তাদের এবং সেখানে কর্মরত মার্কিনিদের রক্ষার্থে এই হামলার অনুমোদন দেওযা হয়েছে।

এদিকে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকার ৬টা ৪৫ মিনিটে দুটি মার্কিন এফ/এ ১৮ ফাইটার ইরবিলের বাইরে আইএসআইএস এর আর্টিলারি ইউনিটের ওপর প্রথম হামলা চালায় বলে জানিয়েছেন পেন্টাগনের মূখপাত্র নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল জন কিরবি।

এরপর একটি ড্রোন আইএসআইএস এর একটি মর্টার অবস্থানকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় বলে জানান কিরবি। তিনি বলেন, যখন আইএসআইএস সদস্যরা তাদের আস্তানায় ফিরে আসে, তখন আবারো হামলা চালায় ড্রোন।

আইএসআইএস এর অবস্থান

কিরবি জানান, এর অল্প সময় পর হামলার দ্বিতীয় দফায় চারটি মার্কিন ফাইটার জেট আইএসআইএস এর একটি গাড়িবহরে হামলা চালায যেখানে সাতটি গাড়ি ছিল।

এফ/এ ১৮ ফাইটারগুলো থেকে মোট আটটি লেজার নিয়ন্ত্রিত বোমা হামলা চালান হয়েছে বলেও তিনি জানান।

বর্তমানে ইরাকে কয়েকশ’ মার্কিন সেনাসদস্য কর্মরত আছে। এর মাঝে কয়েকজন সামরিক উপদেষ্টাও আছেন। প্রাথমিকভাবে জর্জ এইচ ডব্লিউ বুশসহ নৌবাহিনীর বেশ কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ এবং বেশ কিছু এফ/এ ১৮ ফাইটার জেট হামলায় অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইরবিলের সরকারি কর্তৃপক্ষের সদস্য নাওযাদ হাদি বলেন, বিমান হামলা এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আইএসআইএস অত্যন্ত সুসজ্জিত একটি বাহিনী।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend