নালিতাবাড়ীতে বণ্যহাতির তান্ডব আমন আবাদ নষ্ট
মো: মঞ্জুরুল আহসান: শেরপুরের নালিতাবাড়ী গারো পাহারের অভ্যন্তরে ২ দিন ধরে বণ্য হাতির দল তান্ডব চালিয়ে সদ্য রোপন করা আমন আবাদ নষ্ট করে করে যাচ্ছে। পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর নির্ঘুম রাত কাটছে। রাত জেগে পাহাড়া দিচ্ছে ফসলের মাঠ আর বাড়িঘর।
এলাকাবাসী জানান, ২ দিন ধরে বণ্যহাতির দল লোকালয়ে প্রবেশ করছে। অন্য কোন খাবার না থাকায় হাতির দল সদ্য রোপন করা আমান আবাদে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে, আগুনের মশাল ও পটকা বাজিয়েও তাদের দৌড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। এখন তারা আর ভয় পায় না। বরং উল্টো ধাওয়া করে। গতকাল সোমবার রাতের আধাঁরে হাতির দল হঠাৎ প্রবেশ করে খলচান্দা গ্রামে। এ সময় হাতির দল-ওই গ্রামের ত্রিফলা কোচ, কয়লা কোচ, সিতন কোচ, রঞ্জিত কোচের প্রায় আড়াই একর সদ্য রোপন করা আমন আবাদি জমি খেয়ে পা দিয়ে পিষিয়ে দিয়েছে। সেখান থেকে ধাওয়া খেয়ে তারা বারোমারী মিশনের পাশ দিয়ে চলে গিয়ে ঢালুকোনা গ্রামে আক্রমণ চালায়।
এতে ট্রাইবাল ওয়েল ফেয়ার এ্যাসোসিয়েশন এর চেয়ারম্যান লুইস নেংমিনজা, সুভাষ সাংমা, হাসু মিয়া, সিরু মিয়া ও মিশনের ফাদার মনীন্দ্র এম চিরানের মোট ৩ একর জমির ফসল বিনষ্ট করে।
হাতির দলকে ধাওয়া করে দৌড়ানোর চেষ্টা করলেও তারা যায় না। অবশেষে পটকার শব্দে ভোর রাতে তারা গভীর জঙ্গলে পালায়। এ অবস্থায় পাহাড়ি অধিবাসী হাতির আক্রমণের ভয়ে রাত জেগে বাড়িঘর ও ফসলের মাঠ পাহাড়া দিচ্ছেন।
সিতন কোচ বলেন, আমার একমাত্র সম্বল ১০ কাঠা জমি। অনেক কষ্টে জমিটুকু আবাদ করেছি। হাতির দল আমার সর্বনাশ করে দিয়েছে। এখন পুণরায় এই জমি আবাদ করার মতো সামর্থ্য আমার আর নেই।
বিশ্ব কোচ বলেন, এই সময়ে কখনো হাতির আক্রমণ হয় নি। কারণ এখন গাছের ফল নেই, মাঠে পাকা ধান নেই। হাতি কেন আসবে? তবে মনে হয় পাহাড়ে হাতির খাবার নেই। তাই তারা লোকালয়ে প্রবেশ করছে এবং আবাদি জমির আমন ফসল নষ্ট করছে।