পিনাক-৬ লঞ্চের মালিক সিদ্দিক গ্রেপ্তার
মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা নদীতে ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চের মালিক আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার দিকে চট্টগ্রাম নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ হাউজিং এলাকার একটি বাসা থেকে সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৭।
র্যাব-৭-এর চট্টগ্রামের পরিচালক লে. কর্নেল মিফতা উদ্দিন আহমেদ আজ বুধবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, সিদ্দিককে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
৪ আগস্ট মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাওড়াকান্দি থেকে দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে মাওয়ায় আসার পথে বেলা ১১টার দিকে ডুবে যায় পিনাক-৬।
এ ঘটনায় মোট ৪৭ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি অশনাক্ত লাশ শিবচর পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। একটি লাশ এখনো দাফন হয়নি। নিহত ৪৭ জনের মধ্যে ১১টি শিশু রয়েছে। আর নিখোঁজ রয়েছে ৬১ জন। এর মধ্যে ২১টি শিশু, ২৪ জন নারী ও ১৬ জন পুরুষ।
নদীর তলদেশে থাকা পিনাক-৬ নামের লঞ্চটির অবস্থান শনাক্ত না করে গত সোমবার উদ্ধারকার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ডুবে যাওয়া পিনাক-৬ লঞ্চের মালিক আবু বকর সিদ্দিক ওরফে কালুর বাড়ি মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায়। তিনি উপজেলার দক্ষিণ মেদেনীমণ্ডল ইউনিয়ন বিএনপির নেতা। লঞ্চ ব্যবসা ছাড়াও তিনি ঢাকা-মাওয়া রুটে ইলিশ পরিবহনেরও একজন অন্যতম মালিক। লঞ্চডুবির পর তিনি গা ঢাকা দেন।
লঞ্চডুবির ঘটনায় মালিককে প্রধান আসামি করে এর মাস্টার (চালক), সারেং ও সুকানিসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বেপরোয়া লঞ্চ চলাচল, অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ও অবহেলাজনিত হত্যার অভিযোগে মামলাটি করেছেন বিআইডব্লিউটিএর মাওয়া ঘাটের পরিবহন পরিদর্শক জাহাঙ্গীর ভুইয়া।