ঝিনাইগাতীতে প্রবল বর্ষনে কৃষকরা খুশি: হুমকীর মুখ থেকে রক্ষা পেল রোপা আমন

Dhan-Laganu-Picture1-1024x731

মুহাম্মদ আবু হেলাল ঃশেরপুরের ঝিনাইগাতীর কৃষক পরিবারের লোকেরা ভরা বর্ষার মৌসুমে অনাবৃষ্টির কারণে ফসলি জমিতে পানির তীব্র সংকট দেখা দেওয়াতে দীর্ঘ খরা পাড় করছিল। রোপা আমন চাষের উপযুক্ত সময় অতিবাহিত হতে চলেছে, অথচ কৃষকরা তাদের ক্ষেতে ধান রোপন করতে পারছেনা । এমন হতাশা আর শংকায় দিন কাটার পর হঠাৎ গত দুই দিন থেকে ভারী বৃষ্টির বর্ষন শুরু হয়। এই ভারী বৃষ্টি বর্ষনের ফলে কৃষকদের মাঝে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসে। প্রবল বর্ষনের ফলে অত্র এলাকার কৃষকরা তাদের কাংখিত রোপা আমন চাষের সুযোগ পাওয়াতে এক যোগে আমন চাষে মেতে উঠেছে। উপজেলার সিংহ ভাগ লোক উৎপাদিত আমন ফসলের উপর নির্ভর করে থাকে। তাই বর্ষার মৌসুমে দু’মাস খরা থাকাতে অনেক কৃষক পরিবার হতাশায় ভূগছিল। তাদের এই হতাশা দূর হলো গত দু’রাতের অবিরাম বৃষ্টি বর্ষনে আর তাতেই যেন ফিরে পেল তাদের প্রাণ। কারণ এ উপজেলার উৎপাদিত রোপা আমন নিজেদের চাহিদা মেটানোর পর বাড়তি ধান বাজারে বিক্রি করে থাকে। এতে যেমন কৃষকদের উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে তাদের চাহিদা পূর্ণ হয়, তেমনি দেশের বাড়তি খাদ্যের যোগান হিসেবে উল্লেখ যোগ্য অবদান রেখে আসছে ঝিনাইগাতী উপজেলার কৃষকরা। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এক যোগে রোপা আমন ধান লাগানো শুরু হওয়াতে দেখা দিয়েছে শ্রমিকের সংকট। শ্রমিক সংকটের কারনে শ্রমিক মজুরীও অনেকটা বেশী গুনতে হচ্ছে কৃষকদের। তার পরেও শেষ মুহুতে শ্রষ্টার আর্শিবাদের বৃষ্টি পেয়ে রোপা আমন ধান ক্ষেতে রোপন করতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব মতে এবছর ঝিনাইগাতী উপজেলায় ১৪ হাজার ২শত ৭৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে। আর সেই জমিতে চাউলে উৎপাদনের মাত্রা ধরা হয়েছে ৩২ হাজার ৬ শত ৪২ টন। বিগত ২/৩ দিন পূর্বেও অনাবৃষ্টি ও খরার কারণে ফসলি জমিতে পানির তীব্র সংকট দেখা দেওয়াতে বৈরী আবহাওয়া ও অধিক খরার কারণে তাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভবনা ছিল ক্ষীণ। কিন্ত গত দুই রাতে প্রবল বর্ষনে এবছরে  কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশী।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com