পাচারকারীর’ কবলে রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্রীরা
ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের ৮ ছাত্রী খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ছাত্রীদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। গোয়েন্দা সূত্রমতে, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে হোস্টেলে আশ্রয় নেয়া নারী পাচারকারী চক্রের এক সদস্য ছাত্রীদের খাবারের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাদের অচেতন করার চেষ্টা করে। বুধবার সকাল পর্যন্ত আক্রান্তরা আশঙ্কামুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীদের হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থরা জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে শারমিন আক্তার রুনা (২৮) নামে এক নারী অসহায়ত্ব প্রকাশ করে রাজেন্দ্র কলেজের ছাত্রীদের ওই হোস্টেলে আশ্রয় নেয়। পরে ছাত্রীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তুলে রান্নার কাজে সহযোগিতা করেন। রাতে ওই নারীর রান্না করা খাবার খেয়ে ছাত্রীরা অসুস্থ হতে থাকে। এক পর্যায়ে বমি ও মাথা ব্যথায় অচেতন হয়ে পড়লে তাদের উদ্ধার করে রাতেই ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার পরে হোস্টেলে আশ্রয় নেয়া শারমিন আক্তারকে আটক করে কোতোয়ালি থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল কুমার কর্মকার জানান, আটক শারমিন আক্তার ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার বেলজাটন গ্রামের জামালের স্ত্রী। জামাল আন্তঃজেলা ডাকাত। বর্তমানে কারাগারে। তার স্ত্রী শারমিন বিভিন্ন স্থান থেকে নারীদের সংগ্রহ করে পাচার করে। এর আগেও সে কয়েকবার এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ব্যাপারে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খবর পেয়ে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহাবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার জামিল হাসান অসুস্থদের শারীরিক অবস্থার খোঁজ কবর নেন।
ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন উষা রঞ্জন চক্রবর্তী জানান, অসুস্থদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।