শান্তি আলোচনা ব্যর্থ হলে নিষেধাজ্ঞা: দক্ষিণ সুদানকে জাতিসংঘের হুঁশিয়ারি
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ দক্ষিণ সুদানের বিবাদমান পক্ষগুলোর প্রতি আবারো হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছতে যে দলই হুমকি সৃষ্টি করবে তাদের ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। চলতি মাসে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত মার্ক লেয়াল গ্রান্ট গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন। ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবায় চলমান শান্তি আলোচনার প্রতি ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ১৫ সদস্য বিশিষ্ট জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের খুবই স্পষ্ট কথা- আদ্দিস আবাবায় বিবাদমান পক্ষগুলো যদি চুক্তিতে পৌঁছতে ব্যর্থ হয় তাহলে এর পরিণাম সকলকে ভোগ করতে হবে।
আদ্দিস আবাবায় চলমান শান্তি আলোচনায় যে পক্ষ বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সমন্বিত ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণার একদিন পর তিনি এ কথা বললেন।
এ ছাড়া জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্তা পাওয়ারও শান্তি আলোচনা বিঘ্নকারীদের সতর্ক করে দিয়েছেন।
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রতিনিধিরা দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরের সঙ্গে দেখা করেছেন। এছাড়া তিনি দেশটির সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিদ্রোহী নেতা রেক মাচেরের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে।
আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী পূর্ব আফ্রিকান জোট দক্ষিণ সুদানে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা ও যুদ্ধ বিরতি কার্যকরি করতে গত ১০ আগস্টকে চূড়ান্ত সময়সীমা বেধেঁ দিয়েছিল।
২০১৩ সাল থেকে দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কিরপন্থি সরকারি বাহিনী ও দলত্যাগি সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিদ্রোহী নেতা রেক মাচেরের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। সংঘর্ষে এ পর্যন্ত হাজার মানুষ নিহত ও প্রায় ১৫ লাখ লোক তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।