পরিমলের পক্ষে বললেন সহকর্মী !
ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এসে উল্টো তার পক্ষে বললেন তার সহকর্মী। এ ঘটনার দায়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের ওই শিক্ষককে বৈরী ঘোষণা করা হয়েছে। জানা যায়, রাজধানীর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক বাবুল কুমার কর্মকার মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হন। বাবুল কুমারের সাক্ষ্য তার সহকর্মী পরিমলের পক্ষে যাওয়ায় তাকে বৈরী ঘোষণা করে উল্টো জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফোরকান মিয়া। স্বাভাবিকভাবে এই সাক্ষীকে আসামি পক্ষের জেরা করার কথা ছিল।
শিক্ষক বাবুল অভিযোগকারীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ২০১১ সালের জুনের শেষ দিকে সম্ভবত দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কাছে একটি অভিযোগ আনে, যাতে না কি কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগ ছিল। ধর্ষণের অভিযোগকে নমনীয় করে জবানবন্দি দেয়ায় বাবুল কর্মকারকে বৈরী ঘোষণা করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
ট্রাইবুনালের পেশকার মো. ফোরকান মিয়া জানান, মঙ্গলবার ভিকারুননিসার গণিতের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পাল ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক জান্নাতুল নেসা রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন। এ দুই শিক্ষক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ মিয়া।
এ নিয়ে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল। বিচারক মো. আরিফুর রহমান আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছেন বলে পেশকার ফোরকান মিয়া জানিয়েছেন।