অবিরাম বর্ষণে নালিতাবাড়ীর নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘর প্লাবিত : আমন ফসল পানির নিচে

bonna-pic-nalitabari-400x335

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে কৃষকের হাজার হাজার একর সদ্য রোপিত আমন ফসল এখন পানির নিচে। ভোগাই নদীর পানির তোড়ে পৌরশহরের পশ্চিম খালভাঙ্গা ও পূর্ব খালভাঙ্গার পূর্বের ভাঙ্গনকৃত ৩টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে এলাকার কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।

মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা ৩ দিন নালিতাবাড়ী এলাকায় প্রবল বর্ষণ হচ্ছে। ১৪ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ভারী বৃষ্টিপাতে ভোগাই নদীর পানির তোড়ে পৌরশহরের ৯ ওয়ার্ড পশ্চিম খালভাঙ্গা ও মরিচপুরান ইউনিয়নের খালভাঙ্গা এলাকা ও শিমুলতলা এলাকার পূর্বের ভাঙ্গনকৃত ৩টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে কৃষকের হাজার হাজার একর সদ্য রোপিত আমন ফসল এখন পানির নিচে তলিয়ে গেছে। একই সাথে শিমুলতলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠায় স্কুলের শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে না পেরে বাড়ী ফিরে গেছে। এদিকে হঠাৎ নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের বুঝার আগেই ভাঙ্গনকৃত স্থান দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে বির্স্তীণ এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বিশেষ করে পৌরশহরের ৯ ওয়ার্ড পশ্চিম খালভাঙ্গা প্রায় ৮০ ফুট জায়গা ও মরিচপুরান ইউনিয়নের পূর্ব খালভাঙ্গার প্রায় ১২০ ফুট জায়গার পূর্বের ভাঙ্গনকৃত ২টি পয়েন্ট দিয়ে পানি প্রবাহিত হয়ে কৃষকের হাজার হাজার একর সদ্য রোপিত আমন ফসল এখন পানির নিচে চলে গেছে। এদিকে ওই এলাকার নদীর পার হওয়ার রাস্তাটি প্লাবিত হতে ২/১ ফুট জায়গা বাকি রয়েছে। পানির তোড়ে যে কোন সময় এটিও ভেঙ্গে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। রাস্তাটির ২টি পয়েন্টে ভাঙ্গন হওয়ায় চারিদিেিক পানি আর পানি। ঢলের প্রবাহিত পানিতে চারিদিকে থৈ থৈ অবস্থা। বর্তমানে ওই এলাকার মানুষের নৌকাই চলার একমাত্র মাধ্যম। সেই সাথে এলাকার অনেক বাড়ি-ঘর এখন প্লাবিত। জনপ্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা ভাড়া গুনে বাড়ি হতে বাজারে যাতায়াত করতে হচ্ছে। অপরদিকে সদ্য রোপিত আমন ফসল পানির নিচে চলে যাওয়ায় সব হারিয়ে এলাকার কৃষকরা এখন দিশেহারা হয়ে পড়ছেন।
পশ্চিম খালভাঙ্গা এলাকার প্রান্তিক কৃষক আলী হোসেন (৫৫) বলেন, আমি ধার দেনা করে এবছর ৪০ হাজার দিয়ে ২একর জমি নিয়েছি। আরও ১০ হাজার টাকা দিয়ে ওই জমি লাগিয়েছি। আমি জানতাম না এভাবে হঠাৎ পানি আইয়া পড়বো। আমার সব শেষ হয়ে গেছে। পরিজন নিয়ে কিভাবে পরের দিনগুলি পার করমো? আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। কৃষক ফয়জুর রহমান (৫০) বলেন, আমি এক একর জমি ৫ হাজার টাকা খরচ করে কিছুদিন আগে লাগাইলাম। এখন বন্যায় আমার সব ভাইসা গেল।

 

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend