একজনও পাস করেনি
জেলার বোদা উপজেলার মাড়েয়া মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্রতিষ্ঠান থেকে তিন জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছিল। এদের কেউই পাস করেনি। একজন ছাত্র আর ২ জন ছাত্রী ছিল মানবিক বিভাগে। দু’জন ফেল করেছেন ইংরেজিতে আর এক জন ইতিহাসে। ভর্তির সময়ের পরে জরিমানা দিয়ে ভর্তি করা, বাড়িতে থাকা, নিয়মিত পড়ালেখা না করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো এবং স্বেচ্ছাশ্রমের শিক্ষক দিয়ে (ভলান্টিয়ার) পাঠদান করানোর কারণে এ রকম ফলাফল বলে জানিয়েছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।
কলেজের অধ্যক্ষ ধীরেন্দ্রনাথ পাল জানান, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠানটি কলেজ শাখার অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি থেকে প্রথম তিন জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়। একজন ছাত্র আর দু’জন ছাত্রী ছিল মানবিক বিভাগে। এদের কেউই পাস করেননি।
তিনি জানান, কলেজ অনুমোদনের পর ছয় জন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান করা হয়। এ সব শিক্ষকরা স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে পাঠদান করায়। এখন পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগ করা হয়নি। কলেজে বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি রয়েছে। কমিটি চূড়ান্ত হলে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে। তারপর শিক্ষকদের সরকারি মঞ্জুরীভুক্ত (এমপিও) করার জন্য আবেদন করা হবে।
পাস করতে না পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শেষ সময়ে ভর্তি, সর্বনিম্ন গ্রেডিংয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি, অনিয়মিত কলেজে আসা, ঠিকমত লেখাপড়া না করানো এবং শিক্ষক নিয়োগ না করাই পরীক্ষার্থীদের ফেল করার কারণ।
বোদা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আলী শাহরিয়ার কোনো পরীক্ষার্থী পাস না করার বিষয়টিকে দুঃখজনক মন্তব্য করে বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ডের নিয়মানুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’