ঝিনাইগাতীতে আত্মহত্যার প্রবনতা দিন দিন ব্যাপক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে
মুহাম্মদ আবু হেলালঃশেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় আত্মহত্যার প্রবনতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, গত ১ মাসে বিষ পানে ও ফাঁসিতে ঝুলে ১২ জন মহিলা ও পুরুষ আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওই ১২ জনের মধ্যে ১০ জন ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হলেও মারা যায় ২জন। বিষ পানে মারা যায় ঝিনাইগাতী গ্রামের শীতা রামের ছেলে নয়ন দাস (২২) এবং ফাঁসিতে ঝুলে মারা যায় ফুলহারী গ্রামের আঃ রাজ্জাকের ছেলে রুবেল (২৩)। বর্তমানে ঝিনাইগাতী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে সমশ্চুড়া গ্রামেরসীমা (২৭) ও ঝিনাইগাতী গ্রামের শিরিনা (১৪)।
আর যে সমস্ত রোগী সুস্থ্য হয়ে বাড়ী ফিরে গেছে তারা হচ্ছে, সারিকালীনগর গ্রামের আবু বক্করের ছেলে আতিক (২১), জারুলতলা গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা (২০), বাঐবাধা গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে মনির (২০), প্রতাবনগর গ্রামের আমেনা (১৮), হলদীগ্রামের খোকন চৌধুরীর স্ত্রী সুমা আক্তার (৩১), একই এলাকার আক্তার আলীর ছেলে রাজু মিয়া (১৭), আঃ হকের ছেলে আল- আমিন (১৮), বাগের ভিট গ্রামের রুপালী বেগম (২৫)।
উল্লেখ্য যে, এই সমস্ত উঠতি বয়সের ছেলে মেয়েদের মধ্যেই এই আত্মহত্যার প্রবনতা ব্যাপক ভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর কারণ হিসেবে দেখা যায়, অর্থ সংকট, পরক্রিয়া প্রেম, পারিবারিক কলহের পাশাপাশি মাদকের নেশা। প্রকাশ থাকে যে, ঈদুল ফিতরের আগের দিন গভীর রাতে ডেফলাই গ্রামে নারী সংক্রান্ত ঘটনায় আবু সাঈদকে বাধা দিতে গিয়ে দস্তাদস্তির এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে হার্ট ষ্টুক করে মৃতে্যু বরণ করে নিরঞ্জন হাজং এর ছেলে শ্যামল হাজং (৫৫) এবং ঈদুল ফিতরের পরের দিন পারিবারিক কলহের জের ধরে ঝিনাইগাতীর রামেরকুড়া গ্রামে স্ত্রী আছমা কর্র্তৃক স্বামী সৈয়দুর রহমান ফজু নির্মম ভাবে খুন হয়। এ ব্যাপারে ঝিনাইগাতী থানায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।