দুই দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দেশবাসী আবার জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখতে চায়: এরশাদ
দুইটি দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দেশবাসী আবার জাতীয় পার্টিকেই ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
শনিবার বনানীস্থ কার্যালয়ের মিলনায়তনে খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির নেতৃবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দানকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এরশাদ আরো বলেন, দেশে এখন দূর্ণীতি, লুটপাট আর দখলদারীর রাজত্ব কায়েম হয়েছে। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে জাতিকে জাতীয় পার্টির পতাকাতলে সমবেত করতে হবে।
সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, গত ২৪ বছর দেশে উন্নয়নের চাকা থেমে গেছে। অথচ আমার শাসনামলে প্রতিদিন ১ কি.মি. রাস্তা পাকা হয়েছে। আমি ৫০৮টি ব্রীজ, কালভার্ট করেছি। জাতীয় পার্টির ৯ বছরের শাসনামলের সাথে তুলনা করে মানুষ পরিবর্তন চায়। দুটি দলের ধারাবাহিক ব্যর্থতায় দেশবাসী জাতীয় পার্টির শাসনামল ফিরে পেতে চায়।
তিনি জেলা নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, সামনে আমাদের সুদিন অপেক্ষা করছে। আমাদের একটাই লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে যে কোন মূল্যে ১৫১ আসনে আমাদের বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে হবে। সেজন্য এখন থেকে নিজনিজ এলাকায় জাতীয় পার্টির সংগঠনকে শক্তিশালী করতে হবে। ক্ষমতায় যেতে হলে সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলকে সুসংগঠিত করতে হবে।
খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভরায়, ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবুল হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া এবং খুলনা জেলা-উপজেলা নেতৃবৃন্দের মধ্যে- ডা. এম. হাদিউজ্জামান, জোহর আলী মোড়ল, মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর, ফরহাদ হোসেন, আব্দুল লতিফ জমাদ্দার, নারায়ণ চন্দ্র সরকার, আজগর হোসেন সাব্বির, মোতয়ালী শেখ, শহিদুল ইসলাম খোকন, এ্যাড. প্রশান্ত বিশ্বাস, মনোজ কুমার রায়, রিয়াজ উদ্দিন, জিয়াউল হক জিয়া,আব্দুল হাই সোহেল, শাহ মিরাজ কাইনাত, আব্দুল বারিক গাজী, আজিজুর রহমান, সুলতান মাহমুদ, আইজুদ্দি শেখ।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম নুরু, শ্রমিক পার্টির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, সাবেক এমপি মোক্তার হোসেন, আলহাজ্ব তরিকুল ইসলাম, এম.এ আল মামুন, জাহাঙ্গীর মোস্তফা, ডাঃ সৈয়দ আবুল কাশেম, মোজাফ্ফর হোসেন খোকন, আব্দুল ওহাব, এসএম মামুনুর রশীদ, লুৎফর রহমান সানা, জিয়াউর ইসলাম জিয়া, কাইচ্ছেদ আলী, আব্দুল জলীল, মোজাহিদুর রহমান,মল্লিক হাসানুজ্জামান, ফরিদা ইয়াসমিন, গুরুদাশ রায়, শেখ আমানুল্লাহ, মিরাজ হোসেন, মোস্তফা সরদার, জিএম বাবুল, মোঃ কুদ্দুস, মাষ্টার শরিফুল ইসলাম, ইউসুফ হোসেন রাহুল, জালাল উদ্দিন, ফরহাদ আহমেদ, দূর্গাপদ রায়, সামছুল হুদা খোকন, শাহজালাল, সোহেল রানা, সিরাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।