দখল মুক্ত হয়নি ইসলামপুর গুঠাইল যমুনার রিভেটমেন্ট স্ট্রাকচার
জামালপুর জেলার ইসলামপুর গুঠাইলবাজার রিভেটমেন্ট টেষ্ট স্ট্রাকচার (যমুনার নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধ) চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে বলা হলেও গত ১ মাসের মধ্যে দখল মুক্ত হয়নি। বর্তমানে এ স্ট্রাকচারটির বিভিন্নস্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। গত মাসে স্ট্রাকচারটির প্রায় ২৫মিটার ধব্বসে যমুনায় বিলিন হয়েছে। যেন কোন সময় অরো ধব্বসে ভয়াবহ দুর্ঘটনাসহ নদীর গর্ভে বিলিনের আশঙ্কা রয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, গত ৯০ দশকের শেষের দিকে যমুনার ভাঙন রোধে গুঠাইলবাজার রক্ষায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে ৬শ ১০ মিটার দৈর্ঘ রিভেটমেন্ট স্ট্রাকচার (যমুনার তীর সংরক্ষণ বাঁধ) নির্মাণ করা হয়। এ সময় এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা স্ট্রাকচারটি দখলে নিয়ে দোকানপাটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে। বিশেষ করে বাঁধের উপর বিশাল এলাকা জুড়ে নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে ¯তূপ করে রেখে বালি বিক্রয় স্থান গড়ে তুলেছেন। আবার একশ্রেনীর মাদক ব্যবসায়ী বাঁধ দখল করে নদীভাঙ্গাদের বসতি করে দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। এসব কােেণ স্ট্রাকচারের উপর অত্যাধিক ওজন ওবড়ে যায়। তেমনি বসবাসকারিরা রাতের আঁধারে ষ্ট্রাকচারের ইট, ক্রংক্রিট বোল্ডারসহ মুল্যবান সামগ্রী চুরি করার কারণে স্ট্রাকচারের স্থায়ীত্বে নষ্ট হয়ে অনেকটাই বিপদজনক হয়ে পড়ছে। ২০০৩ সালে স্ট্রাকচারে পানির স্রোতধারা সরাসরি আঘাত করায় নানা স্থানে ফলিং এ্যাপ্রোজ ধব্বসে প্রায় ২০০ মিটার এলাকায় নদীতে বিলীন হয় যায়। গত মাসে আবারো স্ট্রাকচারের ২৫ মিটার যমুনায় দেবে যায়। হুমকীর মুখে পড়ে স্টাকচারের বাকী অংশ। এ অবস্থায় স্টাকচারের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা বালির ¯তূপ সরিয়ে না নিলে বাঁধের যেমন ক্ষতি হবে, ঠিক তেমনিভাবে যে কোন মুহুর্তে বাঁধটি ধব্বসে ঘরবাড়ি দোকানপাটসহ মারাত্মক প্রাণহানী ঘটনা ঘটতে পারে।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমুর রহমান জানান, স্ট্রাকচারটি ভাঙ্গন দেখা দিলে দখলকারীদের উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের গড়িমসির কারণে এখন পর্যন্ত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা সম্ভব হয়নি। এমনকি পানি উন্নয়ন বোর্ডে জোরালো তৎপরতা না থাকার কারণে দখলমুক্ত করা যাচ্ছে না স্ট্রাকচারটি। এদিকে জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নবকুমার চৌধুরী বলেন, খুব তারাতাড়ি স্ট্রাকচারটিকে দখল মুক্ত করা হবে বলে জানান।