চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছাত্রী উত্ত্যক্তের অভিযোগ
সাভার পৌর এলাকার উলাইল মহল্লার ভোরের আলো কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই স্কুলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সেলিমের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সাভার উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রী বারবার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তাদের দায়েরকৃত এ অভিযোগের ভিওিতে সোমবার দুপুরে সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এছাড়াও এ ঘটনায় সাভার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভোরের আলো কেজি স্কুল অ্যান্ড কলেজের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সেলিম ও তার স্ত্রী অধ্যক্ষ লিমা রহমান বাড়তি টাকা আয়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ঠিকমতো ক্লাস না করিয়ে কোচিংএ পড়ার জন্য বাধ্য করেন। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি কোচিং করতে না চায় তাহলে ওই শিক্ষার্থীকে পরীক্ষায় নম্বর কম দেয়া হয়।
এছাড়াও স্কুলের মাসিক বেতন বাবদ নেয়া হয় ৭শ’ টাকা, কোচিং ফি বাবদ ৭শ’ টাকা ও পরীক্ষার ফি বাবদ নেয়া হয় ২৫০ টাকা। স্কুলে ব্যবহৃত বই, খাতা, কলমসহ সকল উপকরণ অতিরিক্ত দাম দিয়ে ক্রয় করাতে বাধ্য করেন কর্তৃপক্ষ।
দরিদ্র কোনো ছাত্রী এসব ফি কমানোর আবেদন করলে তাকে অনৈতিক ও অশ্লীল প্রস্তাব দেন আনিসুর রহমান সেলিম। দীর্ঘদিন যাবৎ নানাভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে আসছেন তিনি। কয়েকমাস আগে এক শিক্ষিকার সঙ্গে এ ধরনের আচরণ করায় তিনি চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন বলেও শিক্ষার্থীরা দাবি করে।
উত্ত্যক্তের স্বীকার দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর ভাই খালেদ গাজী জানান, ছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান কর্তৃক এমন আচরণের কারণে একাধিক ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ লিমা রহমানের কাছে অভিযোগ করলেও তিনি উল্টো ছাত্রীদের দোষারোপ করেন।
এ বিষয়ে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হোসেন মোল্লা বলেন, এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা একটি লিখিত অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠনা করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।