ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতাসহ ১১ জন নিহত, ভেস্তে গেছে শান্তি আলোচনা
ইসরায়েলি বিমান হামলায় স্ত্রী-সন্তানসহ এক হামাস নেতা নিহত হয়েছে। এঘটনায় ওই পরিবারের মোট ১১ সদস্য নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
কায়রোতে হামাসের এক মূখপাত্র জানান, হামাসের সেনা উইংয়ের কমান্ডার মোহাম্মদ ডেইফকে লক্ষ্য করে এ হামলা চালায়।
এদিকে ইসরায়েল জানিয়েছে, মঙ্গলবার গাজা থেকে অন্তত ৫০টি রকেট ছোড়া হয়েছে এবং বুধবার আরো ২০টি ছোড়া হয়। তবে এঘটনায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইসরায়েলের বিমান হামলার ঘটনাটি ঘটেছে সর্বশেষ অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে।
অপরদিকে মঙ্গলবার যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর প্রায় ৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এঘটনায় অন্তত ১০জন নিহত এবং ১০০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতের হামলায় মোহাম্মদ ডেইফ বেঁচে আছেন কি না, সে বিষয়ে কোনো নিশ্চত খবর পাওয়া যাচ্ছে না। কায়রোতে অবস্থানরত ডেইফের ডেপুটি মুসা আবু মারযুক জানান, নিহতদের মাঝে নেতার স্ত্রী এবং মেয়ে আছে।
ইসরায়েলে বেশ কয়েক বছর যাবৎ আত্মঘাতী হামলাসহ বিভিন্ন হামলার জন্য ডেইফকে অভিযুক্ত করে আসছে পশ্চিমা বিশ্ব।
ইসরায়েলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গিডেওন সা’র বলেন, সে একজন বৈধ লক্ষ্য এবং যদি সুযোগ থাকে তাকে শেষ করে দেওয়াই উত্তম।
এদিকে শান্তি আলোচনা ভেস্তে যাওয়ায় আবারো হামাস এবং ইসরায়েল পরস্পরকে দোষারোপ করা শুরু করেছে। ফিলিস্তিনি কূটনীতিকরা অভিযোগ করেছে, শান্তি আলোচনায় কোনো উৎসাহই ছিল না ইসরায়েলের। অপরদিকে ইসরায়েল গাজাকে দোষারোপ করেছে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য।
কিন্তু আসলে আলোচনায় কি ঘটেছে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ইসরায়েলি কূটনীতিকরা জানিয়েছে, তারা এবার দেশে ফিরবে। অপরদিকে ফিলিস্তিনি নেতা ইজ্জাত রিশেদ জানান, চুক্তিতে একমত হওয়ার পথ খুবই সংকীর্ণ এবং এটা অত্যন্ত কঠিন।
এদিকে হামাসের সেনা উইং কাশাম ব্রিগেড জানায়, ইসরায়েল জাহান্নামের দরজা খুলেছে এবং এর জন্য তাকে চরম মূল্য দিতে হবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা কাউন্সিল ইতোমধ্যে বুধবারের পর করণীয় বিষয় নিয়ে বৈঠকে বসেছে।