শ্রীবরদীতে বিদ্যুৎ বিভাগের কাজভাঙ্গা খুটি দিয়ে চলছে সংস্কার ও মেরামত কাজ
রোম্মান আরা পারভীন রুমী:শেরপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের শ্রীবরদী উপজেলায় ১ লক্ষ ৯৯ হাজার টাকার পুরাতন লাইন সংস্কার ও মেরামতের কাজ চলছে ভাঙ্গা খুটি (পুল) ও পুরাতন সরঞ্জমাদি দিয়ে। এতে কাজ শেষ হওয়ার আগেই আবার ভেঙ্গে পড়তে পারে খুটি। নষ্ট হয়ে যেতে পারে অন্যান্য সরঞ্জমাদি। যে কোন সময়ে বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসী।জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর বিউবো/ বিবিশে/ হিসাব-৮/২০১৩/২৯৪ নং স্বারকে শ্রীবরদী বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতাধীন ফতেহপুর আঃ রউফ সাহেবের মিলের খলা থেকে নয়ানী আফসার মেম্বারের বাড়ি এবং চেয়ারম্যান বাজার পর্যন্ত পুরাতন লাইনের সংস্কার ও মেরামত কাজের দরপত্র আহবান করে। ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর মেসার্স লাইট গার্টেন, মির্জাপুর, শরিফপুর, জামালপুর ১ লক্ষ ৯৯ হাজার ৭৬১ টাকায় সর্বনি¤œ দরপত্রদাতা হিসাবে কাজটি পায়। ২০১৩-১৪ অর্থ বছরের এপিপি‘র প্রেক্ষিতে ২৯ জানুয়ারী ২০১৪ মেসার্স লাইট গার্টেন কে কার্যদেশ প্রদান করা হয়। এ অনুযায়ী শেরপুর বিউবো থেকে ২৫টি ১১ মিটার এসপিসি পোল, ১২ টি ৯ মিটার এসপিসি পোল, ৩ কিঃমি এ.সি.এস.আর ডগ, ১০ কিঃমি এ.এ.সি ইন্সুলেটেড ওয়াপস, ১ টি ১১/০.৪ কেভি ট্রান্সফরমার ২০০ কেভিএ, ৩টি ১১ কেভি ডিওএফসি, ১০০ মিটার পি.ভি.সি ক্যাবল ৯৫ আরএম, ৪৫ টি এলটি ফিটিংস (র্যাক), ২২ সেট এইচটি ফিটিংস (টপ মাউন্ট সাইড মাউন্ট), ২২ সেট পিন ইন্সুলেটর, ৪৫ সেট সেকেল ইন্সুলেটর, কৌনিক টানা ১৫টি, পোল আর্থিং ১টি ও ১১ কেভি ডিক্স ইন্সুলেটর ফিটিংসসহ ৩ সেটের চাহিদা প্রেরণ করা হয়। বেশ কিছুদিন থেকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এলাকায় কাজ শুরু করেছে। কিন্তু কাজ শুরু করার পর থেকেই নি¤œমানের জিনিস দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠে। এনিয়ে শুক্রবার সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ১১ মিটার এসপিসি ২৫ পোলের মধ্যে ২২ টি পোল দাড় করানো হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ পোলেই রয়েছে ভাঙ্গন। যা যে কোন মূহুর্তে ভেঙ্গে পড়তে পারে। এলাকাবাসী মোঃ আঃ হালিম, জজ মিয়া, লুৎফর, আঃ মালেক সহ অনেকে জানান, যে খুটি( পুল) গুলো লাগানো হচ্ছে তার গায়ে এখনই ভেঙ্গে বড় বড় গর্ত ও ফাটল রয়েছে। এ নিয়ে আমরা ঠিকাদারের লোকদের বললে ঠিকাদারের স্থানীয় ক্যাডাররা আমাদের উল্টো আরো হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। তারা আরো জানায়, এ খুটি (পুল) না সরিয়ে ব্যবহার করা হলে এলাকায় যে কোন মূহুর্তে বৈদ্যুতিক দূর্ঘটনা ঘটতে পারে।এ ব্যাপারে মোবাইলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স লাইট গার্টেনের স্বত্বাধিকারী মোঃ দুলাল মিয়ার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কি কাজ হচ্ছে তা দেখার মালিক বিদ্যুৎ বিভাগ। এলাকাবাসীর অভিযোগে এখানে কোন কাজ হবে না। বিদ্যুৎ বিভাগ এ (ভাঙ্গা) পুলগুলো লাগানোর অনুমোতি দিয়েছে বলেই লাগানো হচ্ছে। তাছাড়া এ নিয়ে আপনারা লেখালেখি করলে এলাকায় বিদ্যুতের কাজটিই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।শ্রীবরদী বিদ্যুৎ কারিগর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ সেলিম মিয়া জানান, আমরা সরজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখেছি। যে পুল দিয়ে কাজ করা হচ্ছে তা বিপদ জনক। আমরা এ পুল দিয়ে কাজ না করার জন্য বলে এসেছি।শ্রীবরদী বিদ্যুৎ সরবরাহের আবাসিক প্রকৌশলী ইয়াহিয়া খান বলেন, ভাঙ্গা পুল দিয়ে কাজ করার বিষয়টি আমি শুনেছি।এ বিষয়ে আমার করার তেমন কিছু না থাকলেও বিষয়টি আমি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।শেরপুর বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ হাসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খুটি গুলো ব্যবহারের অনুপোযোগি হলে সরানো হবে।