২০১৩-১৪ অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতি সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা
প্রাথমিক হিসাবে গেল অর্থবছরে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এই পরিস্থিতিতে ২০১৪-১৫ অর্থবছরের রাজস্ব আদায়ের কর্মকৌশল ঠিক করতে সম্প্রতি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেছেন চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন। এসময় যেসব কমিশনার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছেন তাদের কঠোর ভাষায় তিরস্কার করেন চেয়ারম্যান।
বৈঠক সূত্রে জানা যায়, রাজস্ব আহরণ ত্বরান্বিত করতে কমিশনারদের নির্দেশ দিয়েছেন চেয়ারম্যান। কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আহরনে আইনের কোন বাধা থাকলে তা দূর করতে কমিশনারদের কাছে পরামর্শ ও সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে। ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। প্রত্যক্ষ কর খাতে ৪৫ হাজার ২৮০ কোটি টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৩ হাজার ৫৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়কর এবং ভ্রমণ কর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া মূল্য সংযোজন কর (মূসক/ভ্যাট) খাতে ৪৬ হাজার ৮৫০ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৪৩ হাজার ৭২০ কোটি টাকা। তবে গত কয়েক বছরের ব্যর্থতাকে সফলতায় পরিণত করেছে শুল্ক খাত। ৩২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩৩ হাজার ২৩০ কোটি টাকা।
বিদায়ী ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেট ঘোষণায় রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ কোটি টাকা। রাজনৈতিক অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে লক্ষ্যমাত্রা কমিয়ে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছর শেষে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জন করতে পারেনি এনবিআর। এর আগে ২০১২-১৩ অর্থবছরে রাজস্ব আয়ে ঘাটতি হয়েছিল ৩ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা।
সূত্র জানায়, এত বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ঘাটতি নিয়ে বিব্রত এনবিআরের নীতি-নির্ধারকরা। কারণ, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার ওপর ভিত্তি করে চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।