জামালপুরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি পানিবন্দি ২ লক্ষাধিক মানুষ
জামালপুরে বন্যার পরিস্থিতি মারাত্বক অবনতি ঘটেছে। যমুনার বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে ৪ সেন্টি মিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ২ ইউনিয়ন, ইসলামপুর উপজেলার ১২ ইউনিয়ন, মেলান্দহ উপজেলার ৫ ইউনিয়ন, মাদারগঞ্জ উপজেলার ৪ ইউনিয়ন, সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪ ইউনিয়ন, বকসিগঞ্জ উপজেলার ২ ইউনিয়নসহ জামালপুর সদর উপজেলার ১টি ইউনিয়ন বন্যার পানিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় নতুন করে প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫০হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। হাজার হাজার হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র নদের অববাহিকা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চুকাইবাড়ী, চিকাজানী ,ইসলামপুর উপজেলার পার্থর্শী, কুলকান্দি, বেলগাছা, চিনাডুলী, নোয়ারপাড়া, ইসলামপুর সদর, পলবান্দা, গোয়ালের চর, গাইবান্দা,চরগোয়ালীনী ও চরপুটিমারী ইউনিয়ন। মেলান্দহ উপজেলার, শ্যামপুর, মাহমুদপুর, আদ্রা, ঝাউগড়া, ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়ন। মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা জোড়খালী, বালিজুড়ি ও চর পাকেরদহ ইউনিয়ন। সরিষাবাড়ী উপজেলার পিংনা, আওনা, ও কামরাবাদ, ইউনিয়ন। বকশিগঞ্জ উপজেলার সাদুরপাড়া, মেরুরচর ইউনিয়ন, জামালপুর সদর উপজেলার লক্ষীরচর, ইউনিয়ন বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এ সকল এলাকা প্রায় ৫০হাজার মানুষসহ গৃহপালিত পশু, গরু, ছাগল হাঁস, মরগী পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষ উচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। আবার যমুনার দুর্ঘম চর হরিণধরা,জিগাতলা, চরবেড়কুশা,বরুল, মুন্নিয়া, সিন্দুর তলি, চরচেঙ্গানিয়া, প্রজাপতি, চরশিশুয়া ও চর বিশরশির এলাকায় বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক। এদিকে মানুষের খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির পাশাপাশি গো খাদ্যে চরম সংকট দেখা দিয়েছে। এব্যাপারে জামালপুরের জেলা প্রশাসক শাহাবউদ্দিন খান জানান এপর্যন্ত বন্যা কবলিত ইসলামপুর উপজেলার যমুনা পাড়ের ৬টি ইউনিয়নে জন্য ১২মেঃ টন চাল এবং আড়াই লাখ টাকা শুকনো খাবার (চিড়া-গুড়) বরাদ্ধ দিয়েছেন। তিনি আরো জানান বন্যা দুর্গত এলাকা সব সময় খোজ খবর নেয়া হচ্ছে। পর্যাপ্ত ত্রান রয়েছে প্রয়োজন হলে দেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।