ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নিখোঁজ, ‘প্রেমিক’ আটক

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী (১৩) আজ শুক্রবার সকাল থেকে নিখোঁজ। এ ঘটনায় মেয়েটির কথিত এক প্রেমিককে আটক করা হয়েছে।দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছেলেটি বলেছে, তার ওপর অভিমান করে মেয়েটি স্থানীয় বংশাই নদীতে ঝাঁপ দিয়েছে। তবে মেয়েটির বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে ছেলেটি ধাক্কা দিয়ে নদীতে ফেলে দিয়েছে।উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মেয়ের বাবা বাদী হয়ে সখীপুর থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ছেলে-মেয়ে দুজনের বাড়িই দাড়িয়াপুর গ্রামে।

মেয়ের বাবা প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে ছেলেটি তাঁকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করে, তাঁর মেয়ে সাঁতার জানে কি না। ছেলেটির এ প্রশ্নে তিনি চিন্তায় পড়ে যান। অনেক পরে মেয়েকে খোঁজাখুঁজি করেও না পাওয়ার পর গ্রামবাসীর সহায়তায় ছেলেটিকে ধরা হয়।
লোকজনের প্রশ্নের মুখে পড়ে ছেলেটি বলেছে, পড়ালেখার সময় থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ ভোর পাঁচটার দিকে দুজন ওই বিদ্যালয়ের ৫০ গজ পশ্চিমে বংশাই নদীর পাড়ে দেখা করে। এ সময় মেয়েটি তাঁকে বিয়ে করতে বলে। ছেলেটি রাজি না হওয়ায় দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে অভিমান করে মেয়েটি নদীতে ঝাঁপ দেয়।
ছেলের স্বীকারোক্তির পর সবাই নদীর পাড়ে গিয়ে মেয়েটির ব্যবহূত একজোড়া জুতো পেয়েছে।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশ ছেলেটিকে থানায় নিয়ে যায়।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলুর রশীদ বলেন, ‘বিষয়টি প্রেমঘটিত। ছেলেটিকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মেয়েটির খোঁজে নদীতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।