কারখানা চালু করবে না তোবা গ্রুপের এমডি দেলোয়ার
স্বল্প সুদে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ দরকার, আর তা না হলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা চালু করতে পারবে না বলে জানিয়েছে তোবা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) দেলোয়ার হোসেন।
দেলোয়ার হোসেন বলেছেন, নতুন করে স্বল্প সুদে ২৫ থেকে ৩০ কোটি টাকা দেয়া না হলে বন্ধ কারখানাগুলো চালু করা সম্ভব নয়।
আজ রবিবার দুপুরে রাজধানীর করওয়ান বাজারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে শ্রমিকদের আন্দোলনের মধ্যেই বেতন দেয়ার অঙ্গীকার করে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান দেলোয়ার, যিনি তাজরীনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গত ফেব্রুয়ারি থেকে কারাগারে ছিলেন।
দেলোয়ার আরও বলেন, আমার চোখের সামনে তাজরীনসহ তোবা গ্রুপের ৫টি কারখানা, ১টি প্রিন্টিং কারখানা ও ১টি অ্যাম্ব্রয়ডারী কারখানাসহ ৮টি প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। এতে আমার সব কিছু শেষ হয়ে গেছে।
দেলোয়ার বলেন, এখন আমার কোনো সম্পত্তি নেই। সরকার যদি কোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ ঋণের বন্দোবস্ত করে দেয় তবেই বন্ধ কারখানাগুলো পূণরায় চালু করা সম্ভব।
তিন মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে রোজার ঈদের আগের দিন থেকে অনশন চালিয়ে আসা তোবা গ্রুপ সংগ্রাম কমিটির সদস্যদের গত ৭ অগাস্ট কারখানা থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় পুলিশ। এরই মধ্যে বিজিএমইএর মধ্যস্থতায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা হয়। কারখানাগুলোর কাছে রক্ষিত শ্রমিকদের তালিকা অনুযায়ী ১ হাজার ৪৫৬ জন শ্রমিক কাজ করতো।
নোটিস টানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেয়ায় কারখানায় দীর্ঘদিন ধরে কাজ করা শ্রমিকদের সার্ভিস বেনিফিটসহ অন্যান্য পাওনাদি (প্রায় ২ কোটি টাকা)অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কারখানাগুলো ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিস দেয়া হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, বন্ধের ঘোষণা জুনের ১০ তারিখ থেকে কার্যকর হবে।
শ্রমিক আন্দোলনকে কারণ হিসাবে দেখিয়ে দেলোয়ার গত ১৮ অগাস্ট তোবা গ্রুপের পাঁচ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেন। বন্ধ কারখানাগুলো হলো- তোবা টেক্সটাইল, তায়েব ডিজাইন, মিতা ডিজাইন, বুকশান গার্মেন্টস ও তোবা ফ্যাশনস। অন্য তিনটি আগে থেকেই বন্ধ ছিল।