ডেসটিনির অবৈধ সম্পদের সন্ধান
মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কোম্পানি ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের শীর্ষ আট কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের তথ্য-প্রমাণ পাওয়ায় ইতোমধ্যেই অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের উপ-পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে সাত কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের স্ত্রী এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের স্বনামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্বাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও সম্পদ অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী নির্ধারিত ছকে কমিশনের সচিব বরাবর দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত কর্মকর্তা
ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালক ও সাবেক ডিএমসিএসএল’র সহ-সভাপতি মোহ্মামদ গোফরানুল হক ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ও ডেসটিনি বিল্ডার্সের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার শেখ তৈয়বুর রহমান ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের সাবেক পরিচালক ও ডেসটিনি বিল্ডার্সের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার নেপাল চন্দ্র বিশ্বাস ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের পরিচালক ইরফান আহমেদ সানী, মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান ও ডেসটিনি মাল্ডিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. আকবর হোসেন সুমন।
২০০৪ সালের ৫নং আইনের ধারা ২৬ এর উপ-ধারা (১) অনুযায়ী এ আদেশ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে ব্যর্থ হলে অথবা মিথ্যা বিবরণী দাখিল করলে ওই আইনের ২৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চার হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ ৩৮২ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের দায়ে দুদকের দায়ের করা দুই মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান লে. জেনারেল (অব.) হারুন-অর-রশিদ ও ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ শীর্ষ ৫১ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে দুদক।