সাগরে ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেদের মুখে হাসি
পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের হঠাৎ করে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়তে শুরু করেছে। গত দু’দিন ধরে গভীর সমুদ্র থেকে ইলিশ বোঝাই ট্রলারগুলো আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরের আড়ৎগুলোতে আসছে। মৌসুমের শেষের দিকে এসে দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর কাঙ্খিত রুপালী ইলিশ ধরা পড়ায় হাসি ফুটে উঠেছে জেলে, আড়ৎদার ও মৎস্যজীবিদের মাঝে।
এদিকে স্থানীয় মৎস্য আড়ৎ বাবসায়ীরা ইলিশ সংগ্রহ করে রপ্তানী করার জন্য পিকআপ ও ট্রাক বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। জেলেদের জালে ইলিশ ধরার পড়ার খবর শুনে উপকূলীয় জেলে পল্লীগুলোতে আনন্দের জোয়ার বইছে।
মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, ইলিশ মৌসুমের দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর সাগরে ইলিশ ধরা পড়ছে। প্রতিটি ট্রলারে ৫ থেকে ১০ লাখ টাকা ইলিশ বিক্রি করছে। বর্তমানে স্থানীয় আড়ৎগুলোতে গ্রেড অনুযায়ী প্রতিমন ইলিশ ১৫-থেকে ২৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে গভীর সমুদ্রে জেলেদের সাইনজালে মূলত এ ইলিশ ধরা পড়লও খুটা জেলেদেও জালে ইলিশ ধরা পড়ছে না বলে জেলেরা জানিয়েছেন।
মৎস্য আড়ৎদার আব্বাস কাজী প্রিয়.কমকে জানান, বৃহস্পতিবার মৎস্য আড়ৎগুলোতে প্রায় ৩ কোটি টাকার ইলিশ বেচা কেনা হয়েছে।
কুয়াকাটা আশার আলো জেলে সমবায় সমিতির সভাপতি ও মৎস্য আড়ৎদার নিজাম শেখ প্রিয়.কমকে বলেন, এভাবে সাগরে এক মাস মাছ ধরা পড়লে লাভের মুখ দেখা যেত। তবে সাগরের তীর ভাগের খুটা জেলেরা আশাতিত ইলিশ পাচ্ছেন না বলে তিনি জানা যায়।
আলীপুর মৎস্য আড়ৎদার সমিতির সভাপতি আনসার মোল্লা প্রিয়.কমকে জানান, মৌসুমের শেষের দিকে প্রতিটি ট্রলার মাছ নিয়ে ঘাটে আসছে। এ কারনে কুয়াকাটাসহ আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরের প্রান ফিরে পেয়েছে।