শেরপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি ও ভাঙন অব্যাহত
শেরপুরের পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে অব্যাহত রয়েছে নদীভাঙ্গন। প্রতিদিনই ভাঙ্গছে নতুন নতুন ঘর-বাড়ি। তলিয়ে যাচ্ছে ফসলের মাঠ ও বিভিন্ন গ্রাম। গত ৭ দিন ধরে পানি বৃদ্ধির কারণে শেরপুর-জামালপুর সড়কের শেরপুর সদর উপজেলার পোড়ার দোকান এলাকার ডাইভারশনে পানি উঠতে শুরু করেছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালে ব্রহ্মপুত্র নদে পানির উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬.০৯ সেন্টিমিটার। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার মাত্র কয়েক ইঞ্চি নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে ব্রহ্মপুত্র নদের শেরপুর সদর উপজেলা প্রান্তের বন্যা নিয়ন্ত্রনের বাধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে পানির স্রোত প্রবাহিত হয়ে জঙ্গলদি গ্রামের পাশ দিয়ে স্থানীয় চরমোচারিয়া, কামারেরচর ও চরপক্ষীমারি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রবেশ করছে। এভাবে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে শেরপুর-জামালপুর সড়কের ওই ডাইভারশনটি দু’এক দিনের মধ্যে তলিয়ে যেতে পারে। ফলে বন্ধ হয়ে যেতে পারে ওই সড়কের যান চলাচল। এতে শেরপুর থেকে জামালপুর হয়ে ঢাকাসহ উত্তরাঞ্চলের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশংকা রয়েছে।
চরপক্ষীমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আকবর আলী বলেন, ব্রহ্মপুত্র নদসংলগ্ন সাতপাকিয়া, কুলুরচর, ব্যাপারিপাড়া, ভাগলগড়, চুনিয়ারচর ও ডাকপাড়া গ্রামের ব্যাপক এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। সাতপাকিয়া বিলের বিস্তীর্ণ এলাকার সদ্য রোপণ করা আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে বলে তিনি জানান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, শেরপুরের উপ-পরিচালক সুভাষ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বন্যায় চরাঞ্চলের ৩শ ৫০ হেক্টর জমির আমন ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।