বন্যায় সারাদেশে ৬ জনের প্রাণহানি, পরিস্থিতির অবনতি
দেশের উত্তরাঞ্চলের কয়েকটি জেলার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকলেও কিছু জায়গায় অবনতি হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে কুড়িগ্রামে ১জন, বগুড়ায় ১জন, সিরাজগঞ্জে ১জন এবং শেরপুরে ৩জনসহ মোট ছয়জন নিহত হয়েছে।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও রাস্তা ভেঙে বগুড়া ও কুড়িগ্রামে নতুন করে ২২টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কুড়িগ্রামে নুনখাওয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে নতুন করে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া রৌমারী-রাজীবপুর সড়ক ভেঙে পানি ঢুকে নতুন করে ৭টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে রৌমারীর সাথে দেশের অন্যান্য এলাকার যোগাযোগ বিচিছন্ন হয়ে পড়েছে। বগুড়া, কুড়িগ্রাম, মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর ও সিরাজগঞ্জজেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র, সিরাজগঞ্জে যমুনা ও মুন্সিগঞ্জে পদ্মার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বিভিন্ন জেলায় ত্রাণ তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় মেডিকেল টিম কাজ করছে। বন্যাকবলিত এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় ডায়রিয়া, আমাশয় ও চর্মরোগসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দিয়েছে। মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলায় পদ্মায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলায় ৪৯টি পরিবারের বাড়ীঘর পদ্মায় বিলীন হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করায় বিভিন্ন জেলায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন জেলায় আমনসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতি হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা তথ্যকেন্দ্র জানায়, আগামি ৭২ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা ও মেঘনার পানি হ্রাস অব্যাহত থাকতে পারে। আগামি ৪৮ ঘন্টায় পদ্মার পানি বৃদ্ধি পেতে পারে।
আগামি ৭২ ঘন্টায় ঢাকা শহর সংলগ্ন নদ-নদী বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ ও টঙ্গি খালের পানি বৃদ্ধি পেতে পারে এবং আগামি ২৪ ঘন্টায় মিরপুরে তুরাগ নদী বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। আগামি ৪৮ ঘন্টায় শরিয়তপুর, মাদারীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী ও ফরিদপুর জেলাল বন্যা পরিস্থিতির সামান্য অবনতি হতে পারে।
অপরদিকে আগামি ৭২ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম, রংপুর, গাইবান্ধা, নেত্রকোনা ও সুনামগঞ্জের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে এবং আগামি ৪৮ ঘন্টা পরে বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জামালপুর ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি শুরু হতে পারে।