যশোরে ২০-দলীয় জোটের মানববন্ধনে পুলিশের গুলি
যশোরে লতিফ সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ২০-দলীয় জোটের মানববন্ধনে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এতে যুবদল নেতা, মহিলা দল নেত্রী, পুলিশ, পথচারীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও একজন। এসময় জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ ৫ জনকে আটক করেছে।
গুলিবিদ্ধরা হলেন- উপশহর ইউনিয়ন যুবদল নেতা স্থানীয় সিব্লকের বাসিন্দা কামাল হোসেন (৩০), পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহিলা দলের নেত্রী সোনালী বেগম (৪৫), পুলেরহাট এডাস ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক পথচারী ইমদাদুল হক রঞ্জু (৩৫), যশোর পুলিশ লাইনের কনেস্টবল মতিয়ার রহমান (৩০)।
আহত হয়েছেন মহিলাদল কর্মী রেখা খাতুন (৩৫)। এরমধ্যে রেখা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্য চার জন যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এদের মধ্যে যুবদল নেতা কামাল হোসেনের আবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্যের প্রতিবাদে বুধবার বিকেলে বিএনপির নেতাকর্মীরা ২০ দলীয় জোটের ব্যানারে শহরের মুজিব সড়কের প্রেসক্লাব যশোরের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি গ্রহণ করে। বিকেল ৪টার দিকে কর্মসূচি শুরু হলে পুলিশ মানববন্ধন থেকে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু ও ওলামা দল নেতাসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে। এরপর নেতাকর্মীরা পুলিশের গাড়িকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করলে পুলিশ শর্টগানের গুলি বর্ষণ করে। শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ। এতে এক পুলিশ কনস্টেবলসহ ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতরা হয়েছেন আরও একজন।
যশোর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই মুজিব সড়কে প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। কিন্তু একপর্যায়ে পুলিশ মানববন্ধন থেকে জেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুসহ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে। প্রতিবাদ করলে গুলি চালায় পুলিশ।
বর্তমানে শহরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) রেশমা শারমিন জানান, মানববন্ধন থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করা হলে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলিবর্ষণ করে। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা হামলা চালানো হয়। পুলিশ বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ৫ জনকে আটকের কথা স্বীকার করেছে।