ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের আঘাতে ভারতে নিহত ৫
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে পাঁচজনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। আজ রোববার স্থানীয় সময় বেলা ১১টার দিকে আঘাত হানে হুদহুদ।
ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রবল ঝোড়ো হাওয়ার কারণে গাছ উপড়ে পড়ায় অনেক এলাকায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক স্থানে সড়ক ও রেল যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। অন্ধ্র প্রদেশ ছাড়াও ওড়িশাতে ভারী বৃষ্টিপাত ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, হুদহুদের আঘাতে অন্ধ্র প্রদেশে পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে। দ্য হিন্দুর খবরে বলা হয়েছে হুদহুদের কবলে পড়ে অন্ধ্র ও ওড়িশা রাজ্যে পাঁচজনের প্রাণহানি হয়েছে।
এদিকে অপর এক খবরে ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় হুদহুদের কারণে অন্ধ্র প্রদেশে প্রবল বেগে ঝড় বয়ে যায়। পাশাপাশি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট ভূমিধসে বিশাখাপত্তম শহরে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ১৭০-২০০ কিলোমিটার বেগে মহাশক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানে। প্রবল বায়ুপ্রবাহ এবং ভারী বৃষ্টিপাতের মধ্যেও কয়েক লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
হুদহুদের আঘাতের কারণে স্থানীয় বেশ কিছু ট্রেন এবং বিমানের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। অন্ধ্র প্রদেশের পাশাপাশি ওড়িশাতেও প্রবল বেগে বায়ুপ্রবাহ ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ আঘাত হানার পর এর রেশ আরও ছয় ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে ওই এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে অবস্থানের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, ঘূর্ণিঝড় হুদহুদ ভারতের উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে আজ বিকেল চারটার দিকে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। বর্তমানে এটি উত্তর অন্ধ্র ও তৎসংলগ্ন দক্ষিণ ওড়িশার স্থলভাগ এলাকায় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে অবস্থান করছে। এটি স্থলভাগের ওপর দিয়ে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যাবে। উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলো এবং কক্সবাজারকে তিন নম্বর স্থানীয় সর্তকসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।