দেশের ৩৭টি কারাগারের আশেপাশেও থাকছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক
পুরোপুরিভাবে মোবাইল নেটওয়ার্কের বাইরে আনা হচ্ছে দেশের ৩৭টি কারাগারকে। কারাগারের অভ্যন্তরেতো থাকছেই না বরং আশেপাশেও নেটওয়ার্ক বন্ধ রাখার জন্য উদ্যোগ নিয়েছে কারা মহাপরিদপ্তর।
কারাগারে কোনো অবস্থায় যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকে সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সম্প্রতি কারা মহাপরিদপ্তর থেকে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি’র কাছে আবেদন করা হয়েছে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর কারা মহাপরিদপ্তরের পাঠানো এ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে জেলখানা থেকে টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে নানা খবর বেরিয়ে আসছে। এ কারণে কারাগার এবং আশপাশের এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকাই বাঞ্চণীয়।’ এই একই চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়েও পাঠানো হয়েছে। পরিদপ্তর সূত্র জানায়, মূলত সংবাদপত্রের নানা খবরের প্রেক্ষিতে জেল এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না রাখতে বিটিআরসিকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের ৩৭টি জেলখানায় মোট ৬৭ হাজার কয়েদি রয়েছে। যাদের অনেকেই নানাভাবে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। ফলে ঘটছে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা।
যদিও মোবাইল নেটওয়ার্ক নিয়ন্ত্রণ করতে জেলখানা এলাকায় জ্যামার বসানো হয়। কিন্তু জ্যামার ব্যবহারের পরেও পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, বিটিআরসি বা সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হলে তারা তা অবশ্যই কার্যকর করা হবে।
এ প্রসঙ্গে কর্মকর্তারা আরও জানান, একটি এলাকায় নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হলে আশাপাশের অনেক এলাকায় এর প্রভাব পড়বে। ফলে কারাগারের পার্শ্ববতী এলাকার লোকেরা দুর্বল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের এলাকা বা নাজিমউদ্দিন রোগের আশপাশের লাখো মানুষের বসবাস। এ ক্ষেত্রে এসব এলাকার মানুষকে মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে। একই ভাবে অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও একইভাবে সমস্যা হতে পারে।
বিটিআরসির কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন। এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।