মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে সরকার
মুক্তিযোদ্ধা সনদ জালিয়াতির ঘটনায় চার সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে সরকার। এর মাঝে তিনজন সচিব ও একজন যুগ্মসচিব।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত এক ফাইলে স্বাক্ষর করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই চার কর্মকর্তাকে শোকজ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
শোকজ পাওয়া চারজন হলেন, স্বাস্থ্য সচিব এম নিয়াজ উদ্দিন মিয়া, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সচিব এ কে এম আমির হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব কে এইচ মাসুদ সিদ্দিকী (বর্তমানে ওএসডি) এবং একই মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (ওএসডি) আবুল কাসেম তালুকদার।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, শিগগিরই মন্ত্রণালয় থেকে তাদের দফতরে নোটিশ পাঠানো হবে।
এ প্রসঙ্গে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী বলেন, নিয়ম অনুযায়ী তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হচ্ছে।
এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্তৃক চিহ্নিত বহুল আলোচিত চার সচিব ও এক যুগ্ম-সচিবের জাল মুক্তিযোদ্ধা সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে গত ২২ সেপ্টেম্বর এই পাঁচজনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামানের সনদ বাতিল না করে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত হয়।
সেসময় এবিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের বলেছিলেন, তিনি (মোল্লা ওয়াহিদুজ্জামান) মুক্তিযোদ্ধার সনদ নেয়ার জন্য পাঁচটি ধাপের চারটিই শেষ করেছেন। যে ধাপটি শেষ করেননি তা তার দোষ নয়।
ওয়াহিদুজ্জামানকে শুনানিরও সুযোগ দেয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেছিলেন, অতি উৎসাহী কর্মকর্তারা শেষ ধাপ না মেনে তার গেজেট প্রকাশ করেন, যা এনএসআইয়ের তদন্তেও বেরিয়ে এসেছে। তাই তার সনদ বাতিল না করে স্থগিত করা হয়েছে।
বাকি চার সচিবের সনদ বাতিল করা হয়েছে বলে এসময় জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রজ্ঞাপনটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এ মন্ত্রণালয় এবার এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত বা বিভাগীয় ব্যবস্থা নেবে। রাষ্ট্রপতির আদেশে এ প্রজ্ঞাপনে সই করেছেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. সলিমুল্লাহ।