শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের মরদেহ রাখা নিয়ে বিভ্রান্তি
সদ্য প্রয়াত ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পিয়াস করিমের মৃত্যুর পর গণমাধ্যমকে জানানো হয়েছিলো,সকলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মঙ্গলবার তাঁর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে। কিন্তু এর মধ্যেই বিভিন্ন ছাত্র ও সাংস্কৃতিক সংগঠন পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া নিয়ে প্রতিরোধের ঘোষণা দেন। গণজাগরণ আন্দোলন এবং যুদ্ধাপরাধের বিচার নিয়ে তার বিভিন্ন সময়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এই ঘোষণা দেন তারা।
এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক জানিয়েছেন, সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত মরদেহ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শহীদ মিনারে রাখার কোনও অনুমতি তারা দেননি। এ নিয়ে কারও পক্ষ থেকে ‘যথাযথ’ভাবে কোনো আবেদনও পাননি তারা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যস্থিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের তত্ত্বাবধায়ক কর্তৃপক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ই। সেখানে কোনো অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানাতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক আমজাদ আলী বলেন, পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার বিষয়ে মৌখিকভাবে একজন জানালেও লিখিত কোনো আবেদন দেননি কেউই।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছে, শহীদ মিনারে মরদেহ রাখতে হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদনের আগেই তা গণমাধ্যমে প্রচারে সমালোচনা করেন উপাচার্য। তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া অনেক টেলিভিশনে (মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে) নাকি স্ক্রল দেওয়া হচ্ছে। এটাও অনুমোদন ছাড়া দেওয়া ঠিক হচ্ছে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবেক শিক্ষক পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়ার বিষয়টি বর্তমান অধ্যাপক আসিফ নজরুল টেলিফোনে বলেছিলেন বলে জানান প্রক্টর আমজাদ আলী।
তিনি বলেন, যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিষয়, সে জন্য তাকে (আসিফ নজরুল) বলেছি, লিখিতভাবে অনুমতি নিতে হবে। নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে, সেজন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেও জানানোর বিষয় রয়েছে।
উপাচার্য বলেন, অনুমতি চাইলে তা প্রক্টর কার্যালয় হয়ে তার কাছে আসবে। এখনো আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। তাই কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি।