জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে ভোগান্তি শেষ হচ্ছে
নাগরিক জীবনে অতিপ্রয়োজনীয় হয়ে ওঠা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য নাগরিকদের ভোগান্তি খুব শিগগিরই শেষ হচ্ছে। নভেম্বর থেকে আবারও দেশজুড়ে পুরোদমে শুরু হবে ছবি তুলে ভোটার হওয়া, আইডি কার্ড উত্তোলন ও বিতরণসহ সব কাজ। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের জন্য আর ঢাকায় দৌড়াতে হবে না। নিজ নিজ এলাকা থেকে ভোটাররা পাবেন জাতীয় পরিচয়পত্র। পরিচয়পত্র সংশোধন, সংযোজন ও স্থানান্তর সবই হবে সেখানে। দেশব্যাপী ৯৯ শতাংশ সার্ভার স্টেশনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয় সার্ভারের সাথে মাঠপর্যায়ে সংযোগ স্থাপনের কাজ।
ইসির কর্মকর্তারা জানান, চারটি জোনে ভাগ করে সার্ভার স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, জেলা নির্বাচন অফিস, উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসের আওতায় সার্ভার স্টেশন স্থাপন হয়েছে। সারা দেশে ১০টি আঞ্চলিক অফিসের মধ্যে ৯টি জোনে সার্ভার স্টেশন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়। ইতোমধ্যে সাতটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। দু’টির কাজ শেষপর্যায়ে। একইভাবে ৬৪ জেলার মধ্যে ৫৩টিতে স্টেশন স্থাপনের উদ্যোগ নেয় ইসি। ৪৫টি স্টেশন স্থাপন হয়েছে। ছয়টির কাজ চলমান। সাতটি থানার মধ্যে চুয়াডাঙ্গায় দৃশ্যমান স্থানে জমি পাওয়া যায়নি। চারটির কাজ শেষ, দু’টি চলমান রয়েছে। এ ছাড়া ৩৯৪ উপজেলার মধ্যে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলা বাদে সবগুলোর কাজ শেষ হয়েছে। অনেক সার্ভার স্টেশন অফিসে কমিশনের অফিসিয়াল কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে ইসির কর্মকর্তারা জানান।
জাতিসঙ্ঘ উন্নয়ন কর্মসূচির কারিগরি সহায়তায় ‘কনস্ট্রাকশন অব সার্ভার স্টেশন ফর ইলেক্টোরাল ডাটাবেজ’ (সিএসএসইডি) নামে এ প্রকল্পের নেটওয়ার্ক অবকাঠামো স্থাপনের কাজ শুরু হয় ২০০৮ সালে। পরবর্তী সময় বিশ্বব্যাংক, জাতিসঙ্ঘ (ইউএন) এবং ডিএফআইডি এ কাজে সম্পৃক্ত হয়।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরী ও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. শামসুল হুদার যৌথ প্রচেষ্টার ফল এ সার্ভার স্টেশন। ২০১২ সালে এ প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও এর মেয়াদ ২০১৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফায় সংশোধিত হিসেবে সার্ভার স্টেশনের সংখ্যা আরো কমিয়ে ৪৬৪টির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৬২ কোটি ২০ লাখ টাকা। পরে এ সংখ্যা আরো কমিয়ে ১০টি আঞ্চলিক অফিসের বদলে ৯টি, জেলা ৫৩, উপজেলা ৩৯৩টি করা হয়।