শুক্রবার পিয়াস করিমের মরদেহ শহীদ মিনারে নেওয়া হবে
শুক্রবার সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হবে অধ্যাপক পিয়াস করিমের লাশ। এতে যদি কোনো বাধা আসে তাহলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ ঘোষণা দেন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ।
মাহফুজউল্লাহ বলেন, আমরা কখনো শুনিনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কাউকে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লিখিত অনুমতি লাগবে। অতীতে এরকম কোনো উদাহরণ পাওয়া যাবে না। পিয়াস করিমের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, পিয়াস করিমের স্ত্রী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আমেনা মহসিন ও বোন অ্যাডভোকেট তৌফিক করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ বরাবর আজ মঙ্গলবার লিখিত আবেদন করেছেন।
মাহফুজউল্লাহ জানান, শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে জুম্মার নামাজের আগ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের মহদেহে শ্রদ্ধা নিদেবন করা হবে। পিয়াস করিমের বোন যুক্তরাষ্ট্র থাকেন। সেখান থেকে আসতে সময় লাগার কারণেই শুক্রবার দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। দাফনের বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হবে।
এ সংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের মরদেহ রাখা নিয়ে এর বিরুদ্ধে সরকারের ইন্ধন বা উস্কানি রয়েছে। কিন্তু এ ধরণের কার্যক্রম কখনো ভালো ফল বয়ে আনে না। পিয়াস করিমের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর উৎসাহতে বাধা না দেওয়াই ভালো।
মাহফুজউল্লাহ বলেন, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পিয়াস করিমের প্রতি শ্রদ্ধা আমরা জানাতে পারি। এটি আমাদের মৌলিক অধিকার। এর বিরোধিতা করে তারা প্রমাণ করেছে যে জীবিত পিয়াস করিমের চেয়ে মৃত পিয়াস করিমের গুরুত্ব অনেক বেশি।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমাদের জানা মতে কয়েকদিন আগে ভাষাসৈনিক আবদুল মতিনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কোনো অনুমতি লাগেনি তো। তাহলে এখন কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেটের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে তিনি জানতে চান কত জনকে অনুমতি নিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে তা সবাইকে জানানো হোক। তারা যদি মনে করে থাকেন আজকের দিনই শেষ দিন তাহলে ভুল করবেন।