নারীকে বিবস্ত্র করে পিটুনি, নির্বাক পুলিশ-জনতা!

10341485_526775120799393_2408067995245475612_nবিবাহিত পুরুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার চড়া মাশুল
দিতে হলো এক নারীকে। প্রকাশ্যে নগ্ন
করে তাকে বেধড়ক মারধর করা হলেও
প্রতিবাদ করল না পথচারীরা। নিরুত্তাপ রইল
পুলিশও।
পূর্ব চীনের শহর পুয়াংয়ের ব্যস্ত রাস্তায়
সম্প্রতি নিগ্রহের শিকার হলেন ৩৮ বছরের
লিন ইয়াও লি। শপিং সেরে বাড়ি ফেরার
পথে তার ওপর চড়াও হলেন চার নারী।
ভিড়ে ঠাসা রাস্তার ফুটপাতের ওপর
ফেলে চলল কিল-চড়-লাথির অবিরাম ধারা।
এরপর তার পরনের পোশাক
ছিঁড়ে দিয়ে সবার সামনে নগ্ন করা হলো।
তাতেও অবশ্য থামেনি প্রহার।
অবশেষে মারের
চোটে সংজ্ঞা হারালেন লি। আর তারপরই
ক্ষান্ত দিলেন নিগ্রহকারীরা। ওই চার
নারী চলে গেলে অ্যাম্বুলেন্স
ডেকে লিকে হাসপাতালে পাঠান
স্থানীয় অধিবাসী জান ফেং। আপাতত মন
ও শরীরে অগুনতি আঘাত
নিয়ে সেখানে ভর্তি রয়েছেন লি।
আশ্চর্যের বিষয় হলো, প্রকাশ্যে এক
নারীকে এভাবে হেনস্থা করলেও
প্রহারকারী নারীদের
বাধা দিতে আসেননি কেউ। পথচারীরা সব
দেখেও নীরব থেকেছেন।
লিকে বাঁচাতে কেউ এগিয়ে যাননি।
এমনকি যে জান
ফেং তাকে পরে হাসপাতালে পাঠানোর
ব্যবস্থা করেন, তিনিও এ
ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেননি।
কিন্তু কেন?
আসলে পরকীয়া প্রেমে মজেছিলেন লিন
ইয়াও লি। বিবাহিত পুরুষের ঘর ভাঙার
চেষ্টার
অভিযোগে তাকে শাস্তি দিয়েছেন তার
প্রেমিকের স্ত্রী ও বন্ধুরা। তিন
বন্ধুকে নিয়ে তাই লির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েন
তিনি।
চীনা সমাজ দ্বিচারিতায়
জড়িয়ে পড়া নারীকে কখনো সমর্থন
করে না। এই কারণে ভরা বাজারে তার
শ্লীলতাহানি হলেও তা ন্যায়বিচার
হিসেবেই দেখেছে মানুষ।
বাধা দিতে যায়নি এমনকি পুলিশও।
প্রসঙ্গত, সেপ্টেম্বর মাসে চীনের
শ্যানডং প্রদেশেও অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল।
স্বামীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক পাতানোর
দায়ে এক নারীর ওপর সদলবলে আক্রমণ
চালিয়েছিলেন আরেক ক্ষিপ্ত স্ত্রী।
স্টিলেটো হিলওয়ালা জুতো দিয়ে মেরে স্বামীর অবৈধ প্রেমিকাকে ক্ষতবিক্ষত করেছিলেন
তিনি। সে ক্ষেত্রেও `শিকার`কে নগ্ন
করা হয়েছিল বলে জানা যায়। জুলাই
মাসে একই অভিযোগ মিলেছে ইউলিন শহর
থেকেও।
বলা বাহুল্য, আলোকচিত্রীর
লেন্সে ধরা পড়লেও এমন কোনো ঘটনার
কথা বেমালুম অস্বীকার করেছে পুলিশ।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া, ডেইলি মেইল।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend