৫০ লক্ষ টাকাসহ চট্রগ্রামে জেএমবি সদস্য আটক
বর্ধমানে বিস্ফোরণকাণ্ডে বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)-এর নাম জড়ালেও গত কয়েক বছরে এ দলের জঙ্গি কার্যকলাপ ছিল বন্ধ। ২০০৭ সালে জেএমবি-র শীর্ষ পর্যায়ের নেতা মওলানা আবদুর রহমান, সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই, শায়েখ আবদুর রহমানসহ ৬ জনের ফাঁসি হওয়ার পর পুলিশ বাহিনী জেলায় জেলায় অভিযান চালিয়ে এই জঙ্গি দলটিকে কার্যত নির্মূল করে দেয়। পুলিশী অভিযানে মারা যায় দলের প্রায় ৮০ জঙ্গি। দ্রুত বিচার আদালতে কঠোর শাস্তি হয় দেড় হাজার সন্ত্রাসীর। বহু সন্ত্রাসী পালিয়ে যায় বাংলাদেশের বাইরে।
এতদিন পর মঙ্গলবার হঠাৎ চট্টগ্রামে শহরে চাঞ্চল্য। এক আইনজীবীকে এই বলে ফোনে হুমকি দেওয়া হয়, চট্টগ্রাম আদালত উড়িয়ে দেওয়া হবে। বলা হয়, জামাতুল মুজাহিদিন দলের তরফ থেকেই ফোন করা হচ্ছে। পুলিশ ও র্যাব বাহিনী আদালত ভবন ঘিরে ফেলে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের অলিতে গলিতে চলে র্যাব বাহিনীর চিরুনি-তল্লাশি। পরবর্তীসময় ওই উড়ো ফোনের হদিস করেন গোয়েন্দারা। একটি চটের বস্তাসহ গ্রেপ্তার করা হয় মহম্মদ ইলিয়াসকে।
র্যাবের জেরায় সে স্বীকার করেছে, ইলিয়াস জামাতুল মুজাহিদিন দলের সদস্য৷ ওই চটের থলিতে পাওয়া গেছে ৫০ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা! ৩২ বছর বয়সী ওই লোকটি জানিয়েছে, সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামে এসেছে দলের কাজে৷ চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাসহ সারা দেশেই নতুন করে জামাতুল মুজাহিদিনদের সম্ভাব্য ঘাঁটিগুলিতে ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়েছে।