আরও ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ করা হবে: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী পাঁচ বছরে আরও ৫০ হাজার পুলিশ নিয়োগ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
এসময় তিনি বলেন, পুলিশ নিয়োগের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক সরঞ্জাম যেমন গাড়ি, অস্ত্রসহ আধুনিক উপকরণ সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩০ হাজার পুলিশ সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বুধবার বিকেলে আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদকাসক্ত রোগীর সংখ্যা তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাদকবিরোধী অভিযান আমাদের ঘর থেকে শুরু করা উচিত। সামাজিকভাবে এটি প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এক সময় সন্ধ্যার পর ঘরের বাইরে ছেলে-মেয়েদের দেখলে বাবা-মা ও মুরব্বিরা জিজ্ঞাসা করতেন, ঘরের বাইরে কেন? ওই সংস্কৃতি এখন আর দেখা যায় না। যৌথ পরিবারগুলো এখন ভেঙ্গে একক পরিবারে পরিণত হয়েছে। আগে পরিবারের সবাই মিলে একসঙ্গে আড্ডা দিতো। এখন সবাই আলাদা হয়ে যাওয়ায় ওই ফাঁকা স্থান দখল করেছে মাদক।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী জানান, মাদকবিরোধী আইন আরও কঠোর করা হচ্ছে। সীমান্ত এলাকা দিয়ে যাতে ফেনসিডিল ও ইয়াবা প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও কোস্টগার্ডের সদস্যরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কয়েক দিন আগে মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে দুই কোস্টগার্ড সদস্য আহত হন। এরপরও তারা মাদকের প্রবেশ ঠেকাতে কাজ করে যাচ্ছেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশে মাদক তৈরি হয় না। ভারত ও মিয়ানমার থেকে ফেনসিডিল ও ইয়াবা আসছে। ইতোমধ্যে ভারত ও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত তাদের সীমান্তের ফেনসিডিল কারখানাগুলো বন্ধের উদ্যোগ নেবে। আর মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করবে। রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে দেশে ইয়াবা আসছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।