চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর থেকে চাঁদনী সরকার নামে সেই শিশু ছাত্রীকে সিংগাইরে নিয়ে এ পাশবিক কাজ করা হয়। চাঁদনী সরকারের বাবা বুধবার মানিকগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ বিষয়ে মামলা করেছেন। তার বাবার নাম অজিত সরকার। বাড়ি শ্রীবাড়ি গ্রামে।
জানা যায়, মঙ্গলবার বিকালে বৈন্যা গ্রামের মন্টু মনিদাসের বাড়ি থেকে চাঁদনীর লাশ উদ্ধার করা হয়। তবে চাঁদনীকে অপহরণ ও হত্যার বিষয়টি অস্বীকার করেন মন্টু মনিদাস। তিনি বলেন, তারা নিজেরা পছন্দ করে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে করেন।
চাঁদনীর বাবা অজিত সরকার জানান, ৭/৮ মাস আগে মন্টু বাড়ির পাশে এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে চাঁদনীকে পছন্দ করে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। চাঁদনী চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় এ প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন তিনি।
এরপর ২২ এপ্রিল বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মন্টু তার সহযোগিদের সঙ্গে নিয়ে চাঁদনীকে মাইক্রোবাসে করে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ঘিওর থানায় ওই সময় অভিযোগ করা হয়েছিল। স্বজনরা মন্টুর বাড়িতে গেলে চাঁদনীকে নিয়ে পরিবারের লোকজন সটকে পড়ে।
বেশ কিছুদিন পর বৈন্যা থেকে জনৈক ব্যক্তির মাধ্যমে চাঁদনীর সন্ধান পেয়ে স্বজনরা মঙ্গলবার মন্টুর বাড়ি যান। কিন্তু গিয়ে চাঁদনীর লাশ দেখতে পান। মৃত্যুর কারণ নিয়ে একেক জন একেক ধরনের কথা বলেন। লাশ শ্রীবাড়িতে আনতে চাইলে মন্টুর পরিবারের লোকজন বাধা দেয়।
অজিত সরকারের অভিযোগ, মন্টু ও তার পরিবারের লোকজন চাঁদনীকে সোমবার রাতের কোন এক সময় মারপিট করে ও শ্বাসরোধে হত্যা করে।
সূত্র: যুগান্তর