কে হচ্ছেন পরবর্তী টেলিকম মন্ত্রী?

Telecom-Minister (1)ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকীকে অপসারণের পর নতুন মন্ত্রী কে হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে নানান গুঞ্জন।খবর বাংলা২৪ .কম অসমর্থিত নানান সূত্র ও ঊর্ধ্বতন রাজনৈতিক কর্মী থেকে এ সংক্রান্ত খোঁজ খবর নিয়েছে। দিন যতই যাচ্ছে আলোচনার টেবিলে এ তালিকা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

খবর বাংলা২৪.কমের অনুসন্ধানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী হতে সামগ্রিকভাবে এগিয়ে আছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, সাবেক বন ও পরিবেশমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর ফুফাতো ভাইয়ের ছেলে ও দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাক।

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনও রয়েছেন প্রতিযোগিতায়। এর সঙ্গে রয়েছেন প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকও।

এদিকে আওয়ামী লীগের একজন প্রভাবশালী প্রেসিডিয়াম সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, রাজধানীর পাশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা টাঙ্গাইল থেকেই একজন মন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ মন্ত্রিসভা থেকে অপসারিত লতিফ সিদ্দিকী এই জেলার একমাত্র মন্ত্রী ছিলেন। ফলে বর্তমানে টাঙ্গাইল জেলা মন্ত্রীশূন্য। সে ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কৃষিবিদ ড. আব্দুর রাজ্জাকের আবার মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। তার নাম এখন সরকার ও দলের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনায় রয়েছে। কেননা টাঙ্গাইল থেকে আওয়ামী লীগের বিগত দুই সরকারেই দু’জন মন্ত্রী ছিলেন। এবার লতিফ সিদ্দিকী বাদ পড়ায় সেই স্থানে ড. আব্দুর রাজ্জাকের আসার সম্ভাবনাই বেশি। এ ছাড়া টাঙ্গাইল থেকে আরো দু’জনের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন মির্জাপুর আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য বিশিষ্ট শিল্পপতি একাব্বর হোসেন ও নাগরপুর থেকে দুইবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য, এক সময় জাসদের প্রভাবশালী নেতা এবং মুক্তিযুদ্ধে বাতেন বাহিনীর কমান্ডার খন্দকার আব্দুল বাতেন।

সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, শূন্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বণ্টন করা হলে প্রধানমন্ত্রীর উপর চাপ কমবে, কাজের গতিও বাড়বে। শূন্য মন্ত্রণালয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মন্ত্রী নিয়োগ দেয়া যায় ততই ভাল।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় সফরে বুধবার ইতালী যাওয়ায় টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে নতুন নিয়োগের প্রক্রিয়া কিছুটা বিলম্বিত হতে পারে।

প্রসঙ্গত, গত ২ বছরেরও কম সময়ে বাংলাদেশে ৪ জন মন্ত্রী টেলিকম খাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এ সময় রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজুর পর সাহারা খাতুন, রাশেদ খান মেনন (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদে) এবং লতিফ সিদ্দিকী টেলিকম খাতের নেতৃত্ব দিয়েছেন। এখন পঞ্চম জনের জন্য অপেক্ষা করছে টেলিকম খাত।

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com
Send this to a friend