শহীদ মিনার কোনো গোষ্ঠীর সম্পদ নয়: শত নাগরিক
শহীদ মিনার কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর সম্পদ নয় বলে মন্তব্য করেছে নাগরিক সমাজের বৃহত্তম সংগঠন `শত নাগরিক’।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, শহীদ মিনারে অধ্যাপক পিয়াস করিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর বিষয়ে যারা বিরোধিতা করছেন, তারা সঙ্কীর্ণ মানসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের মৃত্যুতে আমরা গভীর শোকাহত। তার মৃত্যুতে শিক্ষাঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা সহজে পূরণ হওয়ার নয়।
`শত নাগরিক’ তারা বলে, অধ্যাপনার পাশাপাশি তিনি একজন যথার্থ পাবলিক ইনটেলেকচুয়াল হিসেবে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছিলেন। তিনি যা বিশ্বাস করতেন তা শাণিত যুক্তি ও প্রজ্ঞার সঙ্গে ব্যক্ত করতেন। অচিরেই তিনি জনমানুষের অত্যন্ত প্রিয় হয়ে ওঠেন। তার স্ত্রী অধ্যাপক আমেনা মোহসিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে একজন কৃতী শিক্ষক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ড. পিয়াস করিমের মৃত্যুর পর এ দেশের বোদ্ধাসমাজ শ্রদ্ধা জানাতে তার লাশ শহীদ মিনারে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চিন্তা ও চেতনার জগতে ড. পিয়াস করিম ছিলেন একজন প্রগতিশীল ও খোলা মনের মানুষ। এ রকম একজন কৃতী পুরুষ আমাদের সমাজে বিরল। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, একটি মহল শহীদ মিনারে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের বিরোধিতা করে মত প্রকাশ করেছে। এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং সঙ্কীর্ণ মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। যারা এই দুর্ভাগ্যজনক মত প্রকাশ করেছেন তারা বুঝতে পারছেন না এর ফলে একটি খারাপ নজির স্থাপিত হচ্ছে। আমরা আশা করব, তারা তাদের অবস্থান পরিবর্তন করবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক দর্শনগত অবস্থানের জন্য কারো সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করা যায়; কিন্তু কোনোক্রমেই তার প্রতি মৃত্যুর পর অশ্রদ্ধা জানানো যায় না। শহীদ মিনার কোনো গোষ্ঠীবিশেষের সম্পদ নয়। এটি জাতীয় ঐক্যের প্রতীক। আমরা ড. পিয়াস করিমের রূহের প্রতি পরম শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি এবং তার রূহের মাগফিরাত কামনা করছি।
বিবৃতিদাতারা হলেন- প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ, প্রফেসর ডা. এম এ মাজেদ, বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুর রউফ, কবি আল মাহমুদ, ডা: জাফর উল্লাহ চৌধুরী, ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, কবি ফরহাদ মজহার, ড. মাহবুব উল্লাহ, মোহাম্মদ আসাফউদদৌলা, সাদেক খান, ড. এস এম এ ফায়েজ, ড. ইউসুফ হায়দার, ড. সদরুল আমিন, শফিক রেহমান, মাহফুজ উল্লাহ, ড. তুহিন মালিক, ড. তাজমেরী এস ইসলাম, ড. মুশতাহিদুর রহমান, ড. জিন্নাতুননেসা তাহমিদা খাতুন, ড. আখতার হোসেন, ড. আমিনুর রহমান মজুমদার, ড. দিলারা চৌধুরী, ড. মুশতাহিদুর রহমান, ড. সলিমুল্লাহ, ড. আবদুল লতিফ মাসুম, কবি আল মুজাহিদী, কবি আবু সালেহ, কবি কেজি মোস্তফা, কবি এরশাদ মজুমদার, কবি হাসান হাফিজ, কবি আবদুল হাই শিকদার, রুহুল আমিন গাজী, শওকত মাহমুদ, রিয়াজ উদ্দিন আহমদ, আমানুল্লাহ কবির, কামাল উদ্দিন সবুজ প্রমুখ।