শিক্ষকের ছোড়া কলমে চোখ হারাতে বসেছে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অষ্টম শ্রেণির গোলাম রাব্বি (১৪) নামে এক ছাত্র তার বাম চোখ হারাতে বসেছে শিক্ষকের ছোড়া কলমের আঘাতে। আহত রাব্বি শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত চন্দ্র সরকার পলাতক। তিনি ওই বিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষক।আহত ওই ছাত্রকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চক্ষু হাসপতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা গোলাম রাব্বির বাম চোখে প্লেট বসিয়ে ব্যান্ডেজ করে দেয়।
নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও আহত ছাত্রের স্বজনরা জানান, রোববার ওই স্কুলে সাধারণবিজ্ঞান বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষার হলের পেছন দিকের বেঞ্চে বসা দুই ছাত্র কথা বলছিল। এসময় সুব্রত চন্দ্র তাদের লক্ষ্য করে কলম ছুড়ে মারেন। কিন্তু তার ছোড়া কলম মাঝের দিকে বসা গোলাম রাব্বির বাম চোখে লাগে। এতে সঙ্গে সঙ্গে সে চিৎকার করলে ক্লাসে হইচই শুরু হয়। এ অবস্থায় ওই শিক্ষক আহত ছাত্রকে চোখে মলম লাগানোর পরামর্শ দিয়ে তার হাতে ১০০ টাকার নোট ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে শহরের মৌলভীপাড়ার ব্রাহ্মণবাড়িয়া চক্ষু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
চিকিৎসকরা জানান, তার চোখের মণিতে আঘাত লেগেছে। সাদা অংশেও দাগ ক্ষতচিহ্ন রয়েছে। আহত গোলাম রাব্বির ফুফু মুসলিমা অভিযোগ করে বলেন,এতো বড় অন্যায়ের পরও স্কুল কর্তৃপক্ষ ছেলেটির চিকিৎসার ব্যাপারে অবহেলা করছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া দরকার।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাহিদুল ইসলাম বলেন, ঘটনার সময় আমি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিংয়ে ছিলাম। পরে খবর পেয়ে সদর হাসপাতালে ছুটে এসে সব জানলাম। তেমন কিছু হয়নি দাবি করে তিনি বলেন, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী সলিম উল্লাহ বিষয়টি অবগত হওয়ার পর এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।