সাঈদীর রায় পুনর্বিবেচনার দাবি আইনমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিল গণজাগরণ মঞ্চ
যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন, যুদ্ধাপরাধের বিচারে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান রহিতকরণ ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে আজ রোববার আইনমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে গণজাগরণ মঞ্চ।
মঞ্চের ইমরানপন্থী অংশের আয়োজনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শাহবাগ থেকে আইন মন্ত্রণালয়ের দিকে ‘গণপদযাত্রা’ শুরু হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) হয়ে পদযাত্রাটি দোয়েল চত্বরে পৌঁছালে সেখানে পুলিশ তাদের বাধা দেয়।
পরে সেখানেই একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের পর মঞ্চের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল মন্ত্রণালয়ে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়ে আসেন। এই প্রতিনিধিদলে ছিলেন মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার, সংগঠক মারুফ রসূল, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক লাকি আক্তার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি জনার্দন দত্ত ও উদীচীর যুগ্ম সম্পাদক জমশেদ আনোয়ার।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপক্ষ সুপ্রিম কোর্ট অব বাংলাদেশ (আপিল বিভাগ) রুলস ১৯৮৮-এর অর্ডার ২৬ অনুযায়ী সাঈদীর রায়ের পুনর্বিবেচনার আবেদন করতে পারে। সংবিধানের ১০৫ নম্বর অনুচ্ছেদ রাষ্ট্রপক্ষকে সেই অধিকার নিশ্চিত করেছে। তা ছাড়া, একই অর্ডারের রুল ৩ অনুযায়ী নতুন প্রমাণ উদঘাটনের পরিপ্রেক্ষিতে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে।
স্মারকলিপিতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির ক্ষমার বিধান রহিত করা ও যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার দাবি করা হয়।
জানতে চাইলে ইমরান এইচ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, আইনবিষয়ক সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক মন্ত্রীর পক্ষে এই স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
দোয়েল চত্বরের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ইমরান এইচ সরকার বলেন, জামায়াতের রাজনীতি ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জনমনে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সরকারের বিভিন্ন ব্যক্তির বক্তব্যে তা স্পষ্ট হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন টালবাহানা চলছে। বিচারের ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।