দিনভর তুলকালাম রাতে সমঝোতার চেষ্টা
নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে নয়া পল্টনে। বিক্ষোভের পঞ্চম দিনে কয়েক ঘণ্টা মুখোমুখি অবস্থানের পর দুপুরে এ সংঘর্ষ ঘটে। এতে ককটেল বিস্ফোরণ ও ইটপাটকেলে আহত হয় অন্তত ১০ জন। সংঘর্ষের সময় বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীরা ফটকের ভেতর থেকে তালাবদ্ধ করে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আশ্রয় নেন। বাইরে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন বিদ্রোহী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতা ও ছাত্রদল নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের ভেতর অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। দীর্ঘ চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর সন্ধ্যায় বিদ্রোহী ছাত্রনেতাদের প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন বিদ্রোহী ছাত্রনেতাদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে আলোচনার প্রেক্ষিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি একদিনের জন্য স্থগিত করেছেন ছাত্রদলের বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। এদিকে নয়াপল্টনে যখন ছাত্রদলের দুইপক্ষের সংঘর্ষ চলছিল তখন মতিঝিলে একটি বৈঠক করেন নতুন কমিটির কয়েকজন সিনিয়র নেতা। বর্তমান কমিটির শীর্ষ নেতৃত্বকে অযোগ্য বিবেচনা করে তারা ছাত্রদল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগসহ ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে এ বৈঠক করেন।
নতুন কমিটির কার্যালয় দখল
গত ১৪ই অক্টোবর রাতে ছাত্রদলের নতুন কমিটি ঘোষণার পর থেকেই বিক্ষোভ চালিয়ে আসছিলেন পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা। শনিবার দুপুরে নয়াপল্টন কার্যালয়ের চতুর্থ তলায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। এরপর গতকাল সকাল ৮টায় ছাত্রদলের নবঘোষিত কমিটির সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানের নেতৃত্বে বর্তমান কমিটির কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় সিনিয়র নেতারা ছাত্রদলের কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন কার্যালয়ের নিচতলায় অবস্থান নেন। এ সময় তারা ছাত্রদলের নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে নানা স্লোগান দেন। সকাল ১০টার দিকে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবুসহ বেশ কয়েকজন সিনিয়র নেতা বিএনপি কার্যালয়ে যান। এরপর নতুন কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তারা। এদিকে নতুন কমিটির নেতাদের নয়াপল্টন কার্যালয় দখলে নেয়ার সংবাদ পেয়ে রণপ্রস্তুতি নিয়ে আসেন পদবঞ্চিত কমিটির নেতারা। পদবঞ্চিত নেতা তরিকুল ইসলাম টিটু, রাকিবুল ইসলাম রয়েল, মশিউর রহমান মিশু, শামসুজ্জোহা সুমন, হাবিবুর রহমান, নূরুজ্জামান মুকুট লিংকন, মাহবুবুল আজম ও গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজের নেতৃত্বে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী বেলা ১২টার দিকে নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন। বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়া মাঝারি সারির ছাত্রনেতাদের সবাই বিগত কমিটিতে যুগ্ম সম্পাদক ও সম্পাদক মণ্ডলীর বিভিন্ন পদে ছিলেন। তারা নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের অবস্থানের কয়েক গজ দূরেই অবস্থান নেন। ঘোষিত ছাত্রদলের কমিটি বাতিল ও এ্যানি-টুকুর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করতে থাকেন। এসময় নতুন কমিটির নেতাকর্মীরাও রাজীব-আকরাম কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এতে মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায় দুই গ্রুপ। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে নয়াপল্টন এলাকায়। এসময় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নয়াপল্টন এলাকা থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান নেয়।
দফায় দফায় সমঝোতার চেষ্টা ও সংঘর্ষ
ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানের পর উভয় পক্ষকে দফায় দফায় নিবৃত করার চেষ্টা চালান বিএনপির সিনিয়র নেতা। দুপুর একটার দিকে বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ তৃতীয়তলা থেকে নিচে নেমে আসেন। এসময় বিক্ষোভরত পদবঞ্চিত নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা কার্যালয়ের সামনে এভাবে বিক্ষোভ করলে এর সুযোগ নেবে সরকার। সারা দেশে বিএনপির দুর্নাম হবে। তাই তোমরা এখান থেকে চলে যাও। এ সময় এ্যানী-টুকুর পদত্যাগ দাবি করে রিজভী আহমেদের উদ্দেশে পদবঞ্চিত নেতারা বলেন, আগে ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির নেতাকর্মীদের চলে যেতে বলেন। তারপর আমরা এখান থেকে যাবো। রাকিবুল ইসলাম রয়েল বলেন, বিএনপি ও ছাত্রদলকে বাঁচাতে যুদ্ধ করতে হবে। আমরা এখন সে যুদ্ধ করছি। এসময় কিছুক্ষণ বিদ্রোহী নেতাদের সরাতে ব্যর্থ হয়ে ওপরে উঠে যান রিজভী আহমেদ। এরপর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে নিচে পাঠান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব। তিনিও বিদ্রোহী নেতাদের নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনে থেকে সরাতে ব্যর্থ হন। এরপর কার্যালয়ের তিনতলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা আলমগীর, যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল, ছাত্রদলের সভাপতি রাজীব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসান রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, বিক্ষোভকারীদের মদত দিচ্ছেন সরকারের এজেন্সি। তারা না বুঝেই বিক্ষোভ করছেন। তাদের সুযোগ আছে। তারা নিশ্চয়ই ভুল বুঝতে পারবে। এরপর বেলা ২টার দিকে রিজভী আহমেদ, আলাল, সোহেল নিচে নেমে আসেন। তারা ফের বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের চলে যাওয়ার আহ্বান জানান। এসময় রিজভী আহমেদ বিদ্রোহী নেতাদের উদ্দেশে বলেন, নতুন কমিটির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ের পূর্বদিক দিয়ে চলে যাবে, তোমরা পশ্চিম দিক দিয়ে চলে যাও। ঠিক ওই মুহূর্তে বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের ভিড় থেকে দু’টি ককটেল ছোড়া হয়। ককটেল দু’টি কার্যালয়ের নিচতলার সামনে অবস্থান নেয়া নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের ওপর গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। এতে অন্তত ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের কয়েকজন হলেন- শফিক, মাসুম, বাবু, পলাশ। এদিকে কার্যালয়ে প্রবেশের সময় পদবঞ্চিত নেতাদের হাতে লাঞ্ছিত হন রিজভী আহমেদ।
রণক্ষেত্র নয়াপল্টন ও নীরব পুলিশ
বেলা ২টার দিকে ককটেল বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে নয়াপল্টন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। কার্যালয়ের সামনে পরপর দুইটি বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গেই পলায়নপর নতুন কমিটির নেতাকর্মীদের উপর বৃষ্টির মতো ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা। পাশাপাশি কয়েকজনকে লাঠিপেটা করেন। এ সময় তাদের অনেকের হাতে ছিল ক্রিকেটের স্ট্যাম্প ও লাঠিসোটা। নতুন কমিটির নেতাকর্মীরাও প্রতিহত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু বিদ্রোহীদের সঙ্গে টিকতে না পেরে তারা শেষ পর্যন্ত কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে ভেতর থেকে মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দেন। এ সময় বিদ্রোহী নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে ইটপাটকেল ছুটতে থাকে। এতে মূল ফটকের পাশে স্থাপিত বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরালের কাঁচ ও রেলিং, কার্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কাঁচ ভেঙে যায়। এ সময় কার্যালয়ের নিচের কক্ষটিতে রাখা বিএনপি নেতাদের বিভিন্ন ফেস্টুন ভাঙচুর করেন তারা। এতে পুরো নয়াপল্টন রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নয়াপল্টন ভিআইপি রোডে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় পুলিশ কার্যালয়ের সামনে থেকে সরে গিয়ে নিরাপদ অবস্থান নেন। অন্যান্য সময় নয়াপল্টনে বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীদের কোন ধরনের কর্মসূচি পালন ও শান্তিপূর্ণ অবস্থানেও বাধা দেয় পুলিশ। কিন্তু ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিদ্রোহ ও সংঘর্ষের সময় তাদের ভূমিকা ছিল পুরোপুরি নিষ্ক্রিয়। সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য সেখানে উপস্থিত থাকলেও সংঘর্ষের সময় তাদের কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে আহত নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। বিকাল চারটার দিকে একটি এম্বুলেন্স এসে কয়েকজন গুরুতর আহত নেতাকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ফখরুলের আশ্বাসে বিক্ষোভ স্থগিত
সংঘর্ষের পর বিদ্রোহী ছাত্রনেতারা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সিনিয়র নেতা ও ছাত্রদলের নতুন কমিটির নেতাকর্মী অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। চার ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিদ্রোহীদের প্রতি আলোচনার আহ্বান জানান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা আলমগীর। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে তৃতীয় তলার কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিদ্রোহীদের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। বৈঠকে অংশ নেয়া বিদ্রোহী ছাত্রনেতারা হলেন- গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ, রকিবুল ইসলাম রয়েল, তরিকুল ইসলাম টিটু, নূরুজ্জামান মুকুট লিংকন ও মাহবুবুল আজম। এ সময় মির্জা আলমগীরের সঙ্গে ছিলেন দলের দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এবং মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেল। বৈঠকে বিদ্রোহী ছাত্রনেতারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের কাছে কয়েক দফা দাবি জানান বিদ্রোহী নেতারা। দাবিগুলো হলো- ছাত্রদলের দায়িত্ব থেকে বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুর পদত্যাগ, নবঘোষিত ছাত্রদলের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়ে কমিটির পুনর্গঠন। এসময় মির্জা আলমগীর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাতে তাদের দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দেন। এই আশ্বাস পেয়ে বিদ্রোহী নেতারা রোববার সন্ধ্যার পর থেকে আন্দোলন স্থগিত করে নয়াপল্টন এলাকা ত্যাগ করেন। তবে তারা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হলে আজ থেকে ফের নয়াপল্টনে অবস্থান নেবেন তারা। বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতাদের পক্ষ থেকে গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আমাদের ক্ষোভের কথা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবকে জানিয়েছি। তিনি বিষয়টি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কাছে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। গাজী রিয়াজ বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবের প্রতিশ্রুতির কারণে আমরা আজ রাতের জন্য বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। উল্লেখ্য, বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেয়া অন্যতম ছাত্রনেতা গাজী রেজওয়ানুল হক রিয়াজ বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু কাঙিক্ষত পদ না পাওয়ায় প্রথম থেকে বিক্ষোভে শামিল হন তিনি। এদিকে বিক্ষুব্ধ ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় নতুন কমিটির নেতারা ভবনের চতুর্থ তলায় অবস্থান নেয়। বৈঠকের পর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাদের চুপ করে থাকার নির্দেশ দেন। সন্ধ্যা ৬টার পর নতুন কমিটির নেতাদের নিয়ে বেরিয়ে যান তিনি।
ছাত্রদল থেকে পদত্যাগ করবেন কয়েকজন নেতা
এদিকে সদ্য ঘোষিত নতুন কমিটির শীর্ষ পদে ‘বিতর্কিত ও সুবিধাবাদী’ নেতাদের আনা হয়েছে দাবি করে এই কমিটির বিভিন্ন পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নতুন কমিটির কয়েকজন ছাত্রদল নেতা। এ নিয়ে তারা গতকাল মতিঝিলে একটি বৈঠকও করেন। বৈঠক সূত্র জানায়, পদত্যাগ ও ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণে তারা সেখানে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ, সহ-সভাপতি সাদিউল কবির নীরব, সহ-সভাপতি মনিরুল ইসলাম, হুমায়ন কবির, যুগ্ম-সম্পাদক বায়েজিদ আরেফিন ও গাজী রিয়াজ অংশ নেন। বৈঠক শেষে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বায়েজিদ আরেফিন বলেন, অসম্মানজনক অবস্থানে থেকে বর্তমান কমিটির সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ নেই। আমরা নতুন কমিটি থেকে পদত্যাগ করবো।