জিয়ার ম্যুরাল ভাঙলো কারা?
ছাত্রদলের কথিত বিদ্রোহী নেতা-কর্মীদের হামলা থেকে রক্ষা পায়নি প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ম্যুরালও। বিএনপি কার্যালয়ে হামলার সময় কার্যালয়ের সামনে স্থাপিত জিয়াউর রহমানের ম্যুরালেও হামলা করে তারা, চালায় ভাঙচুর। বিদ্রোহীদের তাণ্ডবের পর দেখা যায় ম্যুরালঘেরা কাচের বেষ্টনী ভাঙা। ম্যুরালের ডান হাতের কাছে সাদা রঙ উঠে গেছে। থাই অ্যালুমুনিয়ামের তৈরী ব্যারিকেডটিও ভাঙচুর করা হয়েছে- যা হামলার পর ফুটপাতে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ১৯৯৫ সালের দিকে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনেই জিয়াউর রহমানের এ ম্যুরালটি স্থাপন করা হয়েছিল। প্রয়াত জিয়াউর রহমান বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা। জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিতে আবেগের সর্বোচ্চ পর্যায়ে তার অবস্থান। তার আদর্শকে ধারণ করেই রাজনীতি করেন বিএনপি এবং এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অথচ এ দলের নেতা-কর্মী দাবীকারী ব্যক্তিরাই জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুর করেছে। গত কয়েক দিনে ছাত্রদলের এই বিদ্রোহী নেতা-কর্মীদের তৎপরতায় আরও কিছু প্রশ্নও সামনে এসেছে। সাধারণত বিরোধীদের যে কোন ধরনের বিক্ষোভে পুলিশ বাধা দিলেও গত কয়েক দিনের বিদ্রোহীদের তৎপরতায় পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। গত পাঁচ বছরে বিরোধী জোটের আন্দোলন কর্মসূচিতে ছাত্রদলের তেমন কোন তৎপরতা চোখে পড়েনি। ২৯শে ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার মার্চ ফর ডেমোক্রেসি কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কোন নেতা-কর্মীকেই রাজপথে দেখা যায়নি। দলের নেত্রীকে বালুর ট্রাক দিয়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল তখন কারও দায়টুকু পর্যন্ত দেখা যায়নি রাজপথে। অথচ নতুন কমিটি ঘোষণার পরপরই বিদ্রোহী নেতারা রাজপথ প্রকম্পিত করে চলছে। এদের বেশির ভাগই গত কমিটির কোন না কোন পদে দায়িত্ব পালন করেছে। কাদের ইন্ধনে এ বিদ্রোহ সে প্রশ্ন এখন আলোচিত হচ্ছে জোরেশোরেই।